ওড়িশার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফুটবল মহলের জল্পনা ছিল কলকাতায় খেলতে দেখা যেতে পারে দিয়েগো মরিসিওকে। তবে সুপার কাপের আগেই ওড়িশা এফসির সঙ্গে আরও দু বছরের চুক্তি বাড়িয়ে নিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আইএসএল-এ ১২ গোল করে গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দুটো গোলে এসিস্টও ছিল তাঁর।
আইএসএল-এর ইতিহাসে অন্যতম সেরা বিদেশি মরিসিও। ব্রাজিলের ফ্ল্যামেংগো, ভিটোরিয়া, স্পোর্টিং রেসিফের মত দলে যেমন খেলেছেন চিনা সুপার লিগে শিয়াজুয়াং এভার ব্রাইট, এমনকি কে লিগের খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছিলেন ভারতে।
২০১০-এ ফ্ল্যামেংগোতে রোনাল্ডিনহোর পাশে খেলেছেন। যুব পর্যায়ে মরিসিও ব্রাজিলের অনুর্দ্ধ-২০ তারকাদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডে ছিলেন। যে স্কোয়াডে ব্রাজিলে তাঁর সতীর্থ ছিলেন ফিলিপে কুতিনহো, অস্কার, ক্যাসেমিরো, নেইমার, ফিলিপে আন্ডারসনরা।
ভারতে ওড়িশা এফসির হয়ে ২০২০-২১'এ সই করেছিলেন। সেই সিজনে জাগারনাটসদের হয়ে ১২ গোল করে যান। তারপরের সিজনে স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে সই করেন মুম্বই সিটি এফসিতে। মুম্বইয়ের জার্সিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল কুয়ায়া আল জাওয়ার বিপক্ষে গোল করেছিলেন। সেবারেই প্ৰথম কোনও ভারতীয় দল হিসেবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় পায় মুম্বই।
গত সিজনে ফিরে এসেছিলেন ওড়িশাতে। জোসেফ গামবাউয়ের কোচিংয়ে ওড়িশা সেভাবে আশাপ্রদ পারফরম্যান্স না করতে পারলেও ব্যতিক্রম ছিলেন মরিসিও। ধারাবাহিক ক্লাবের জার্সিতে সেরাটা দিয়ে গিয়েছেন। এমনকি দলকে নকআউটে পৌঁছতেও সাহায্য করেছিলেন।
সেই মরিসিও থেকে গেলেন ওড়িশাতেই।