প্রথম ম্যাচে বিবর্ণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। জামশেদপুরের বিপক্ষে ওপেনিং ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল। একাধিক সুযোগ নষ্ট যেমন হয়েছে, তেমন মাঝমাঠের সঙ্গে রক্ষণের অভাব প্রকট হয়েছে। রক্ষণ এখনও জমাট বাঁধেনি স্বীকার করে নিলেন কোচ কুয়াদ্রাত।
ডুরান্ড কাপে চোট পেয়েছিলেন নির্ভরযোগ্য অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ব্যাক জর্ডন এলসে। তাঁকে হারাতে হয়েছে বাকি সিজনের জন্যই। তাঁর পরিবর্ত এখনও সই করিয়ে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল শিবির। অন্যদিকে, নুঙ্গা আবার জাতীয় দলের হয়ে এশিয়ান গেমসে খেলছেন। এই দুই তারকার অনুপস্থিতিতেই ছন্নছাড়া দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে। বলে দিচ্ছেন কোচ কুয়াদ্রাত। ম্যাচের পর তিনি জানাচ্ছেন, "তখন বিভাগ আমাদের আরও ইম্প্রোভাইজ করতে হবে। কারণ আমরা জর্ডনকে মিস করছি। লালচুননুঙ্গাকে মিস করছি। ডুরান্ড কাপে যে ডিফেন্স খেলেছিল, সেই রক্ষণভাব আমরা আপাতত পাচ্ছি না। নতুন রক্ষণভাগ নিয়ে কাজ করতে হবে।"
রক্ষণের মত আক্রমণভাগকেও ছন্নছাড়া দেখিয়েছে। মহেশদের উইং প্লে যেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, তেমন সিভেরিওরাও বক্সের মধ্যে ম্যাজিক ফেলতে পারেননি। তবে দলের ফরোয়ার্ডদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন তিনি। জানাচ্ছেন, "ফুটবলে এমন ঘটনা হতেই পারে। মাঠে খুব দ্রুত ঘটনা ঘটে। সঠিক পজিশনে থাকতে হয়। অনেক সময় সেন্টিমিটার, মিলিমিটারের পার্থক্যে স্কোর করা হয়ে ওঠে না।"
ক্লেইটন সিলভাকে প্ৰথম একাদশের বাইরে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন স্প্যানিয়ার্ড। বিরতির পর পরিবর্ত হিসাবে নামলেও প্রভাব ফেলতে পারেনি ব্রাজিলিয়ান তারকা। কোচ কুয়াদ্রাত অবশ্য জানাচ্ছেন পর্যাপ্ত ম্যাচ ফিট হয়ে উঠলেই প্ৰথম একাদশে জায়গা হবে ক্লেইটনের। জানাচ্ছেন, "ও দ্রুত ফিট হয়ে উঠছে। একটু দেরি করে স্কোয়াডে যোগ দিয়েছিল। ডুরান্ড কাপে বেশিক্ষণ খেলেনি ও। দলের অধিকাংশ ফুটবলারই ৭০০ মিনিটের বেশি খেলে ফেলেছে। ও এখন ওই ৩০০-র আশেপাশে রয়েছে।"
"ফিট হতে সময় লাগবে। বেশ কিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ওঁকে খেলানো হচ্ছে। দ্রুত ও ফিট হয়ে উঠছে। যখন আমাদের মনে হবে ও ফিট, ওঁকে ফার্স্ট ইলেভেনে নামানো হবে।"