ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলেই বলা যায় তাঁকে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। আলেহান্দ্র মেনেন্দেজ, খালিদ জামিল হোক বা মারিও রিভেরা- সমস্ত কোচেদের নির্ভরযোগ্য অস্ত্র ছিলেন তিনি।সেই বিদ্যাসাগর সিংকে এবার সই করাতে চলেছে পাঞ্জাব এফসি। এমনটাই জানা যাচ্ছে। হাইমে কোলাডো, এনরিকে এস্কুয়েদাদের প্রাক্তন সতীর্থ ফের একবার ক্লাব বদলাচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গলের যুব দলে খেলতেন। লাল-হলুদের যুব দলের হয়ে অনুর্দ্ধ-১৮ আইলিগের রানার্স হয়েছেন। যুব আইলিগে সেবারে হাফডজন গোল করে গিয়েছিলেন তারকা। সালগাঁওকরের বিপক্ষে সেমিতে গোলের পাশাপাশি ফাইনালে ফেডারেশনের একাডেমির বিপক্ষেও গোল ছিল বিদ্যাসাগরের।
সেই মারকাটারি পারফরম্যান্সের পরেই ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলে নিয়ে নেয় বিদ্যাসাগরকে। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল-এ অংশ নেওয়ার সিজনে বিদ্যাসাগর শেষমেশ ট্রাউয়ের জার্সি চাপান। উত্তর-পূর্বের ক্লাবের হয়ে সেই সিজনেই গোলবন্যা বইয়ে দেন তারকা এই স্ট্রাইকার। ১৫ ম্যাচ খেলেই একডজন গোল করে যান তিনি। দ্বিতীয় ভারতীয় স্ট্রাইকার হিসাবে একই সিজনে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বও অর্জন করে যান। আইলিগে সেবার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন বিদ্যাসাগর। বাইচুং, রামন বিজয়ন এবং সুনীল ছেত্রীর পর চতুর্থ ভারতীয় তারকা হিসাবে আইলিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পান।
ট্রাউ পর্ব সমাপ্ত করার পর ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী পাকাপাকিভাবে নাম লেখান আইএসএল দুনিয়ায়। বেঙ্গালুরুতে এক মরশুম খেলার পর বিদ্যাসাগর লোনে চলে যান কেরালা ব্লাটার্স-এ। লোন পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেরালার সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হন তারকা। তবে এবার ফের একবার লোনে যাচ্ছেন পাঞ্জাব এফসিতে।
প্ৰথমবার আইএসএল অভিযানে নেমে পাঞ্জাব এফসি যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়ছে। ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া হুয়ান মেরা, স্লোভেনিয়ান তারকা লুকা মাজসেন, গ্রিসের দিমিত্রিওস চাতজিসিয়াসকে সই করিয়েছে দলটি। রিকি সাবং, আশিস প্রধান, কিংসলে ফার্নান্দেজ, দীপক দেবরানি, লিওন অগাস্টাইনদের মত একগুচ্ছ জাতীয় স্তরের পরিচিত মুখ রয়েছে স্কোয়াডে। দলের কোচ স্টাইকোস ভারগতিস। আইলিগে গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে আলো ছড়াতে পারবেন বিদ্যাসাগর, সময়ই বলবে।