স্টিফেন কন্সটানটাইনের ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম সৈনিক ছিলেন। রক্ষণে ব্রিটিশ কোচের ভরসার অন্যতম জায়গা ছিলেন। সেই সার্থক গোলুইকে এবার সই করিয়ে ফেলল চেন্নাইয়িন এফসি। আওয়েন কয়েলের দলের রক্ষণ সামলাবেন তিনি। গত কয়েক সিজন ধরেই সার্থক উঠতি বাঙালি প্রতিভাদের মধ্যে অন্যতম।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দু-দফায় খেললেও সার্থকের উত্থান সবুজ মেরুন জার্সিতে। ফেডারেশনের এলিট একাডেমির প্রোডাক্ট সার্থক মোহনবাগানের ট্রায়ালে এসেছিলেন। আর ২০১৬-তেই সঞ্জয় সেনের মোহনবাগানে চুক্তি করে ফেলেন তিনি।
মোহনবাগানের হয়ে দুই সিজন খেলার পরে সার্থক আইএসএল-এও অভিষেক ঘটিয়ে ফেলেন পুণে সিটির হয়ে। পুণের হয়ে প্ৰথম সিজনেই দুরন্ত পারফরম্যান্স করে যান তিনি। সেমিতে পৌঁছতেও সাহায্য করেন তিনি। পরের সিজনে পুনে হতশ্রী পারফরম্যান্স করে। পুনের স্কোয়াড খোলনলচে বদলে ফেলা হয়। সার্থকও দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোয় ইস্টবেঙ্গলে নাম লিখিয়েছিলেন। দু-দফায় ইস্টবেঙ্গলে খেলা ছাড়াও সার্থক খেলেছেন বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই সিটির মত তারকা খচিত দলে।
গত সিজনে ইস্টবেঙ্গল তিন বছরের চুক্তিতে সার্থককে সই করিয়েছিল। তবে এবার কুয়াদ্রাতের আমলে ইস্টবেঙ্গলে ঠাঁই হয়নি সার্থকের। বাঙালি রাইটব্যাকের জায়গা নিয়েছেন লাল-হলুদের পুরোনো তারকা হরমনজোৎ খাবরা।
তাই এবার সার্থক পাড়ি জমালেন চেন্নাইয়িন এফসিতে। ঘটনাচক্রে এবার চেন্নাইয়িনের অন্য ফুলব্যাক-ও গত সিজনে ইস্টবেঙ্গলের খেলা বাঙালি তারকা অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। অঙ্কিত, সার্থক এবার চেন্নাই রক্ষণের ভরসা যোগাবেন। চেন্নাইয়িনে গত কয়েক সিজন ধরেই বাঙালি তারকার ছড়াছড়ি। এবারেও অঙ্কিত, সার্থক ছাড়া রয়েছেন মহম্মদ রফিক, রহিম আলি, সৌরভ দাস, নারায়ণ দাস, সজল বাগ, গোলকিপার দেবজিত মজুমদার, শমিক মিত্ররা।
বিদেশি হিসাবে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত সই করিয়েছে চেন্নাইয়িন। আপফ্রন্টে অস্ট্রেলিয়ান সুপারস্টার জর্ডন মারে-র সঙ্গে জুটি বাঁধবেন স্কটল্যান্ডের কোনর শিল্ডস। মাঝমাঠে আওয়েন কয়েল নিজের উদ্যোগে ফিরিয়েছেন নিজের জামশেদপুরের-কানেকশনের ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল ক্রিভালরোকে। এছাড়াও মিডফিল্ডে শক্তি বাড়াতে চেন্নাইয়িন সই করিয়েছে ইটালিয়ান তারকা ক্রিস্টিয়ান বাতোচ্চিওকে।
আয়ুশ অধিকারী, বিকাশ ইয়ামনাম, আকাশ সাঙ্গওয়ান, ফারুখ চৌধুরিদের নিয়ে গড়া চেন্নাইয়িন এবারের আইএসএল-এর ডার্ক হর্স হতে পারে। এমন দলে ২৫ বছরের সার্থক আলো ছড়াতে পারবেন, সেটাই আপাতত দেখার।