Advertisment

বেঙ্গালুরুতে বাইসাইকেল চাপা পড়ল ইস্টবেঙ্গল! ISL-র সেরা গোলে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল লাল-হলুদ

ক্লেইটনের জাদুতে হায়দরাবাদ ম্যাচে শেষরক্ষা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
east-bengal

জাভি হার্নান্দেজের সেরার সেরা সেই বাইসাইকেল কিক (টুইটার)

ইস্টবেঙ্গল: ১ (নাওরেম)

বেঙ্গালুরু: ২ (সুনীল, জাভি)

Advertisment

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ফুটবল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। শুরুর দুই ম্যাচেই চার পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে প্ৰথম এওয়ে ম্যাচেই হার হজম করতে হল কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গলকে। কান্তিবীরা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দুরন্ত খেলেও ১-২ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে লাল-হলুদকে শেষ মুহূর্তে জিতিয়ে দিয়েছিল ক্যাপ্টেন ক্লেইটনের বিশ্বমানের ফ্রিকিক গোল। বুধবার ইস্টবেঙ্গল হার মানল আর একটা বিস্ময় গোলে। এবার এল প্রতিপক্ষের বিদেশি তারকার পা থেকে। মহেশের গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরু মাত্র চার মিনিট পরেই সমতা ফেরায় সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টি গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্ধর্ষ বাইসাইকেল কিকে ইস্টবেঙ্গলের হার নিশ্চিত করে যান জাভি হার্নান্দেজ।

ম্যাচে আগাগোড়াই প্রাধান্য নিয়ে খেলে গেল ইস্টবেঙ্গল। এশিয়ান গেমস থেকে ফেরা সুনীল ছেত্রী, রোহিত দানুর অন্তর্ভুক্তিতে শক্তি বাড়িয়েছিল বেঙ্গালুরু। ব্লুজদের হাইপ্রেসিং ফুটবলে ৬ মিনিটেই পিছিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তবে এশিয়ান গেমস থেকেই ফেরা নুঙ্গা রবি কুমারকে সঠিক সময়ে ট্যাকল করে রক্ষা করেন দলকে।

১৫ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল প্ৰথম গোল তুলে নিয়েছিল। নাওরেম মহেশ কার্যত একক দক্ষতাতেই লাল-হলুদকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। নন্দকুমারের পিনপয়েন্ট পাস থেকে মহেশ স্কিলের ঝলক দেখান। দামজানোভিচ মহেশের রান স্পট করতে পারেননি। রোহিতকে মাটি ধরিয়েই জোরালো শটে লিড এনে দেন মহেশ।

তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। চার মিনিটের মধ্যেই গোল কনসিড করে ইস্টবেঙ্গল। মন্দার বক্সের মধ্যে সুনীলকে ফাউল করে বসেন। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে সুনীল সমতা ফেরাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। ইস্টবেঙ্গল এদিন সারাক্ষণই শান্ত রাখল নীল বাহিনীর স্ট্রাইকার কার্তিস মেইনকে। কার্তিসকে কভারিংয়ের জন্যই সুনীল ছেত্রী অনেকটা স্পেস পেয়ে যাচ্ছিলেন। বারবার কাউন্টার এটাকে সুনীল ইস্টবেঙ্গলের অর্ধে উঠে আসছিলেন।

আক্রমণে ওঠার সময় ইস্টবেঙ্গল নিজেদের মধ্যে অনেক পাস খেললেও সমস্যা হচ্ছিল বেঙ্গালুরুর প্রতি আক্রমণ শানালে। দ্রুতই আক্রমণ থেকে রক্ষণে নামার সময় শেপ ভেঙে যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ৩০ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে উড়ে আসা বলে নন্দকুমার গোল করলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়।

বিরতিতে ১-১ ফলাফলে মাঠ ছেড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিন সেন্টার ব্যাক ফর্মেশন থেকে চার ডিফেন্ডারে শিফট করেন বেঙ্গালুরু বস সাইমন গ্রেসন। এতে বেঙ্গালুরুর আক্রমণে অনেক বেশি তীক্ষ্ণতা এসেছিল। ৭২ মিনিটেই ওয়ান্ডার গোল করে যান জাভি হার্নান্দেজ। সুনীল ছেত্রীর হেড থেকে বল ভেসে এসেছিল তাঁর কাছে। সেখান থেকেই ডান পায়ে বল রিসিভ করে বাঁ পায়ে দর্শনীয় বাইসাইকেল কিকে গোল করে যান।

গোল হজম করার পরেই কুয়াদ্রাত সৌভিক, সিভেরিওকে নামিয়ে দেন। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু রক্ষণে ঝাঁপি ফেলে দেয় ডাচ তারকা কেজিয়া ভিনডর্পকে নামিয়ে। এরপরে টানা আক্রমণ করে গেলেও সমতাসূচক গোল এই করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গল: প্রভসুখন গিল, মন্দার রাও দেশাই, হরমনজোৎ খাবরা, হোসে পারদো, নুঙ্গা, নন্দকুমার, নাওরেম মহেশ, সাউল ক্রেসপো, ক্লেইটন সিলভা, বোরহা হেরেরা, নিশু কুমার

Bengaluru FC Indian Football Kolkata Football East Bengal Club ISL East Bangal East Bengal Eastbengal
Advertisment