বহুদিন ট্রফি নেই ইস্টবেঙ্গলে। আইলিগ তো বটেই আইএসএল-এ নাম লিখিয়েও চরম হতাশাজনক পারফরম্যান্স করে এসেছে লাল-হলুদ শিবির। আর ইস্টবেঙ্গলের ট্রফি সমস্যা বরেবারেই বেআব্রু হয়েছে দুর্বল রক্ষণের সৌজন্যে। বছরের পর বছর ডিফেন্স ভুগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তবে কুয়াদ্রাত জমানা যেন সাম্প্রতিক অতীত ভুলিয়ে দিতে মাঠে নামছে।
ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা জোগাতে এবার অবশ্য এসে গিয়েছেন জর্ডন এলসে। ডুরান্ড অভিষেকের পর থেকেই এলসে সমর্থকদের হার্টথ্রব হয়ে উঠেছেন। রক্ষণে ভরসা জোগানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন নুঙ্গার সঙ্গে পার্টনারশিপে।
মঙ্গলবার শেষ চারে খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। আর গোকুলাম কেরালাকে পর্যুদস্ত করতে ঝলসে উঠেছিলেন জর্ডন এলসে। লাল-হলুদ জার্সিতে পেয়ে গিয়েছিলেন প্ৰথম গোল। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে অজি সেন্টার ব্যাক ইস্টবেঙ্গল মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত কলকাতায় আমার যাত্রা বেশ উপভোগ্য হয়েছে। এখানে সই করার আগে বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। প্রত্যেকের কলকাতার ফ্যানদের কথা জানিয়েছে। জানিয়েছে, ওঁরা কতটা প্যাশনেট, উন্মত্ত।"
"প্ৰথমে এই আবেগ নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। পরে ডার্বিতে বুঝতে পারলাম, আবেগের তীব্রতা। এখানে আসার পর থেকেই সমর্থকদের সঙ্গে মানসিকভাবে কানেকশন অনুভব করতে পেরেছি। এই শহরের জন্য ভাল পারফর্ম করতে মরিয়া আমি।"
ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পিছনে অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিলেন দীর্ঘদেহী অজি তারকা। বল পজেশনে মেরিনার্সরা এগিয়ে থাকলেও বাগান আক্রমণ নির্বিষ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এলসে। তিনি বলছেন, "দলের সকলের সঙ্গেই আমার কানেকশন বেশ ভালো। সাধারণত নতুন দলের সঙ্গে নাম লেখালে সেখানের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্ৰথমে বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে মাঠ এবং মাঠের বাইরে নুঙ্গার সঙ্গে আমার বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। মাঠের বাইরের সম্পর্ক সবসময় মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। আর একই হোটেলে একইসঙ্গে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার করলে এই সম্পর্কে গভীরতা আসতে বাধ্য।"
"এর আগের সাক্ষাৎকারেও বলেছি, এখানে মোটেই ছুটি কাটাতে আসিনি। এটা অনেকটা ক্লিশে শোনায় তবে এখানে ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। দু-সপ্তাহে এখানে থাকার পর এটা নিজেই উপলব্ধি করেছি।"