মোহনবাগান: ১ (বুমোস)
বেঙ্গালুরু এফসি: ০
গতবার কলকাতায় এসে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেই হারের বদলা এবার যুবভারতীতেই নিল হুয়ান ফেরান্দো বাহিনী। বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল-এ টানা দ্বিতীয় জয় পেল মোহনবাগান। বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাগানের হয়ে একমাত্র গোল করে যান বুমোস।
প্ৰথমার্ধ যতটা নিরামিষ। বিরতির পর ততই নাটক, মশলা। জোড়া লাল কার্ড। মোহনবাগানের গোল। শারীরিক পর্যায়ে খেলা গড়াল একটা সময় পর্যন্ত।
আগের ম্যাচে তিন সেন্টার ব্যাককেই নামিয়ে দিয়েছিলেন পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে। এদিন অবশ্য হ্যামিলকে বাইরে রেখেই দল গড়লেন হেক্টর-আনোয়ারকে সেন্টার ব্যাক করে।
বেঙ্গালুরু বেশ পজিটিভ ভাবেই শুরু করে ম্যাচ। কার্তিস মেইন, রোহিতরা চাপে রাখছিলেন বাগানের ডিফেন্সকে। ১২ মিনিটেই রোহিত কুমার প্রায় গোল করে দিয়েছিলেন। তবে গোললাইন সেভ করে বাগানকে রক্ষা করেন অনিরুদ্ধ থাপা।
ম্যাচে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রাধান্য শুরু হয় সবুজ মেরুন বাহিনীর। আগের ম্যাচে ডাউন দয়া মিডল-এ সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি লিস্টন কোলাসো। তবে বেঙ্গালুরু ম্যাচে ঝলক দেখাচ্ছিলেন পুরোনো ফর্মের।
বিরতির পর আক্রমণে চাপ বাড়িয়েছিল মেরিনার্সরা। ৪৯ মিনিটে পেত্রাতোসকে রোহিত কুমার বক্সের মধ্যে ফেলে দেন।।তবে রেফারি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি। ৬৭ মিনিটে বাগান লিড নেয়।
মনবীরের ক্রস বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডার জোভানোভিচ ঠিকমত ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই বল পেয়ে যান জেসন কামিন্স। বাঁ দিকে অরক্ষিত থাকা বুমোসকে তিনি পাস বাড়ান। সেই পাস ধরেই গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে যান ফ্রেঞ্চ-মরোক্কান তারকা।
প্ৰথম গোলের পরেই রক্ষণ মজবুত করতে বাগানের স্প্যানিশ বস গ্লেন মার্টিন্স, হ্যামিলকে নামিয়ে দেন। তুলে নেন কামিন্স, আনোয়ারকে। বুমোসের জায়গায় নামান সাদিকুকে। ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পান সুরেশ ওয়াংজাম। পেত্রাতোসের বুট মাড়িয়ে দ্বিতীয় বারের মত হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। সংযোজিত সময়ে রোশন সিংও লাল কার্ড দেখার পর ৯ জনে হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। তবে এই গোলের মুখ দেখেনি বাগান।