মোহনবাগান: ৩ (পেত্রাতোস, কামিন্স, মনবীর)
চেন্নাইয়িন এফসি: ১ (ক্রিভেলেরো)
থামানোই যাচ্ছে না মোহনবাগানকে। আইএসএল হোক বা এএফসি- বাগানকে মাটি।ধরানোর মত দল খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। টানা জিতেই চলেছে হুয়ান ফেরান্দো বাহিনী। শনিবার বাগানের বোমায় উড়ে গেল চেন্নাইয়িন এফসি। পেত্রাতোস গোল করা নিয়ম করে ফেলেছেন। তিনি তো বটেই শনিবার স্কোরার হিসাবে ফের একবার নাম লেখালেন বাগানের হার্টথ্রব কামিন্স। গোলের দেখা পেলেন মনবীরও। সবমিলিয়ে ৩-১ গোলে চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে মোহনবাগান।
মাজিয়া ম্যাচে জোড়া গোল করলেও জেসন কামিন্স পেনাল্টিতে কারিকুরি করে প্রায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন কোচ ফেরান্দোও। শনিবার নিখুঁত ফুটবলেই বাগানের কাছে বধ হল চেন্নাইয়িন।
প্রত্যাশামতই চেন্নাইয়িনের ব্যাক ফোরকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বাগানেই আক্রমণভাগ। ২২ মিনিটেই প্রথম গোল করে যান পেত্রাতোস। নিজের মার্কারকে বিট করে সাহাল ডান দিকের চ্যানেল থেকে নিখুঁত ক্রস তুলেছিলেন পেত্রাতোসকে লক্ষ্য করে। সেই ক্রস থেকে হেডে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি অজি ফরোয়ার্ড।
আওয়েন কয়েলের দল যে একেবারেই আক্রমণ করতে পারছিল না, এমনটা নয়। তবে ফাইনাল থার্ড-ও একদমই ভোঁতা ছিল দক্ষিণী দলটি। এদিকে চেন্নাইয়িনের ঘরের মাঠে নিয়ম করে আক্রমণ শানাচ্ছিল কখনও লিস্টন, বুমোসরা। ক্রমাগত ঢেউ উঠছিল আক্রমণের। প্রথমার্ধে ৭৫ শতাংশ বল পজেশন নিয়ে খেলছিল বাগান। এতেই স্পষ্ট বাগানের দাপট। বিরতির ঠিক আগেই সংযোজিত সময়ে দ্বিতীয় গোল করে যায় সবুজ মেরুন শিবির।
সাহাল বক্সের ঠিক বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন। সেই শট প্রতিহত হয়ে কামিন্সের কাছেই পড়ে। অনসাইডে থাকা অজি স্ট্রাইকার চেন্নাইয়িনের বাঙালি গোলকিপারকে পেরিয়ে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটেই গোল করে গিয়েছিল চেন্নাই। ক্রিভালরো দুরন্ত ফ্রিকিকে ২-১ করে যান। তবে সেই গোলের হ্যাংওভার কাটতে না কাটতেই বাগানের হয়ে তৃতীয় গোল। এবার মনবীরের। গোলহজম করার ঠিক পরের মুভ থেকেই আসে ম্যাচের চতুর্থ গোল। চেন্নাইয়িন রক্ষণকে ফালাফালা করে সোলো রান ছিল সাহালের। তারপর তিনি অরক্ষিতে থাকা মনবীরের উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান। সেখান থেকেই বাগানের হয়ে আসে পরের গোল।
আড়াই বছর পর পুরো নব্বই মিনিট খেললেন সাহাল আব্দুল সামাদ। আর এই ম্যাচে গোল না পেলেও তিনটে গোলেই রইল তাঁর অবদান। এই নিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের দশটিতেই জয় পেল বাগান।