এটিকে মোহনবাগান: ২ (বুমোস, পেত্রাতোস)
ওড়িশা এফসি: ০
ডার্বিতে স্বস্তির ঢেউ ফিরেছিল এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। ঠিক একসপ্তাহ পরে সেই যুবভারতীতে ওড়িশা এফসিকে বধ করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ২-০ গোলে ওড়িশাকে কার্যত উড়িয়ে দিল সবুজ মেরুন শিবির। দুই অর্ধে বাগানের হয়ে জোড়া গোল করে গেলেন বুমোস এবং পেত্রাতোস।
লিগের মাঝপথে টলোমলো হয়ে গিয়েছিল পালতোলা নৌকা। হুয়ান ফেরান্দোকে হঠানোর দাবিও জোরালো হয়েছিল। তবে টানা তিনটে জয় স্প্যানিশ কোচকে এবার খেতাব জয়ের দিকে ঠেলে দিল। লিগ পর্বে ডার্বি সহ দুটো ম্যাচ জিতে তৃতীয় স্থানে ফিনিশ করেছিল এটিকে মোহনবাগান।
ঘরের মাঠে চ্যালেঞ্জ ছিল জোসেফ গামবাউয়ের ওড়িশা এফসি। ওড়িশার স্প্যানিশ কোচ লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছিলেন ম্যাচের আগে। তবে যুবভারতীতে কার্যত দাঁড়াতেই পারল না ওড়িশা। কলিঙ্গ রাজ্যের ফুটবলাররা বাগানের বিরুদ্ধে দশ ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি। একমাস আগেও যুবভারতী থেকে হেরে ফিরেছিল তাঁরা। শনিবাসরীয় প্লে অফে সেই ফলাফল বদলাতে পারল না ওড়িশা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাগান শিবির বল পজেশন দখলে রেখে আক্রমণে উঠছিল। অন্যদিকে, প্রতি আক্রমণ ভিত্তিক ফুটবলে পাল্টা আক্রমন শানানোর প্ল্যানিং ছিল ওড়িশার। ২৮ মিনিটে অবশ্য গোলের প্ৰথম সুযোগ পেয়েছিল অতিথি দলই। সাউল থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন মরিসিওকে। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজেই শ্যুট করেন। ফাইনাল থার্ডে সেই সময় জেরি অরক্ষিত ছিলেন। তাঁকে পাস না বাড়িয়ে মরিসিও সোজা পোস্টের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।
৩৬ মিনিটে বাগান প্ৰথম গোল করে যায় বুমোসের চমৎকার ফিনিশিংয়ের সৌজন্যে। পেত্রাতোসের কর্ণার থেকে গোলের বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন মনবীর সিং। সেখান থেকে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি বুমোস।
বিরতিতে ১ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত বাগান। প্রতি আক্রমণ থেকে কোলাসো প্রায় গোল করে গিয়েছিলেন। তবে অমরিন্দর সিং নিজের পুরোনো ক্লাবের দ্বিতীয় গোল আটকে দেন। প্রথমার্ধে প্ৰথম গোলে রক্তের স্বাদ পেয়ে যাওয়া বাগান ফুটবলাররা বিরতির পর ক্রমাগত আক্রমণে ছারখার করতে থাকে ওড়িশা রক্ষণকে। সেই ঝড় সামলানোর আগেই ৫৮ মিনিটে বাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোল পেত্রাতোসের। এবার বুমোসের এসিস্ট থেকে অমরিন্দরকে পরাস্ত করে গোল করে যান পেত্রাতোস। আইএসএল-এ অভিষেক মরশুমেই এই নিয়ে ১০ গোল হয়ে গেল অজি ফরোয়ার্ডের।