ISL 2024 Derby, EBFC vs MBSG: জেমি-দিমির যুগলবন্দিতে মোলিনার প্ৰথম ডার্বি জয়! ব্লকবাস্টার বাগানের সামনে থই পেল না ইস্টবেঙ্গল

ISL derby EBFC vs MBSG: আইএসএল ডার্বি মানেই যেন মোহনবাগানের দাপট। যুবভারতীতে চলতি মরসুমের প্ৰথম ডার্বি জিতে সেই দাপটের পরিচয় দিল বাগান শিবির।

ISL derby EBFC vs MBSG: আইএসএল ডার্বি মানেই যেন মোহনবাগানের দাপট। যুবভারতীতে চলতি মরসুমের প্ৰথম ডার্বি জিতে সেই দাপটের পরিচয় দিল বাগান শিবির।

author-image
IE Bangla Sports Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ISL Derby, East Bengal, Mohun Bagan, EBFC, MBSG, আইএসএল ডার্বি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান

ISL Derby: আইএসএল ডার্বিতে আবারও মোহনবাগানের দাপট (টুইটার)

মোহনবাগান: ২ (ম্যাকলারেন, পেত্রাতোস) ইস্টবেঙ্গল: ০

Advertisment

ISL Derby 2024, EBFC vs MBSG: আইএসএল ডার্বিতে পাত্তাই পেল না ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি মানেই অনিশ্চয়তার বাতাবরণ। দুর্বল দল হিসেবে খেলতে নামা দল ডার্বিতে শেষ হাসি হেসেছে, এমন দৃষ্টান্ত বহুবার দেখেছে ময়দানের ইতিহাস। তবে কয়েক বছর ধরেই ডার্বি যেন বড্ড বেশি প্রেডিক্টেবল হয়ে উঠেছে।

দল বদলের, কোচ বদলের ইস্টবেঙ্গল নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর মুখে হাসি ফোটাতে পারল না। এয়ারপোর্ট থেকেই নাকি সরাসরি যুবভারতীতে ডাগ আউটে চলে গিয়েছিলেন। তবে হারে সাক্ষী হয়ে প্লেয়ারদের সঙ্গে তাঁর পেহলা মোলাকাত হল শনিবার।

ম্যাকলারেনের প্রথমার্ধের গোলের পর শেষ মুহূর্তে পেত্রাতোসের পেনাল্টি থেকে করা গোলে মোহনবাগান আইএসএল ডার্বিতে নিজেদের অপরাজেয় তকমা ধরে রাখল। সেই সঙ্গে চার নম্বর থেকে সটান দুইয়ে উঠে দলকে স্বস্তি জুগিয়ে গেল। অন্যদিকে, টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে দুঃস্বপ্নের আইএসএল অভিযান অব্যাহত রাখল লাল হলুদ শিবির।

Advertisment

প্রথমার্ধে কার্যত থই পায়নি ইস্টবেঙ্গল। প্ৰথম ১০ মিনিট তো বল পজেশনই পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ১২ মিনিটের মাথায় প্ৰথমবার বল পায়ে ছুঁইয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ অনেকটাই নির্ভর করছিল মাদিহ তালালের ওপর। ৪-৪-২ ছকে দল সাজিয়েছিলেন আইএসএল জয়ী মোলিনা। অন্যদিকে, এয়ারপোর্ট থেকে ডাগ আউটে চলে আসা অস্কার ব্রুজো প্ৰথমবারের ডার্বিতে ৪-৩-২-১ ছকে ভরসা রেখেছিলেন।

আনোয়ার, রাকিপ, ইউৎসেতেদের নিয়ে লাল-হলুদের রক্ষণ এবার শুরুর চারটে ম্যাচেই ডুবিয়েছে। চাকরি গিয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতেরও। এদিনও নড়বড়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণকে টার্গেট করেছিলেন মনবীর, ম্যাকলারেন, গ্রেগরি স্টুয়ার্টরা। ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটের গোল পেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। আশিস রাই ঠিকমত সেই বল সাজিয়ে দিতে ব্যর্থ হন মনবীরের উদ্দেশ্যে।

প্ৰথম ১০ মিনিটের মধ্যেই জোড়া কর্নার আদায় করে নেয় সবুজ মেরুন শিবির। ১২ মিনিটে বল পজেশন পেয়েই গোল করার মত পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। ইউৎসে, ডেভিড, নন্দকুমাত হয়ে ক্লেইটনের কাছে বল পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা গোলের মুখ খুলতে পারেননি।

১৭ এবং ১৮ মিনিটে জোড়া গোলের নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্ৰথমে স্টুয়ার্টের পাস থেকে দুর্ধর্ষ শট নিয়েছিলেন বাগানের নতুন রিক্রুট জেমি ম্যাকলারেন। তবে গিল কোনও রকমে শরীর লাগিয়ে বল প্রতিহত করে যান। ১৮ মিনিটে আবার মনবীরের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।

এরপরে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে বিরতির ঠিক আগেই গোলের মুখ খুলে যান ম্যাকলারেন। মনবীরের দুরন্ত পাস নিখুঁত দক্ষতায় ফিনিশ করে যান স্কটিশ তারকা।

প্ৰথমার্ধে গোলের সন্ধান পাওয়া মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে আরও তেড়েফুঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনবীর, লেনি রদ্রিগেজ, ম্যাকলারেন, কোলাসোরা কার্যত ছিঁড়েখুঁড়ে একাকার করলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে। বাগানের মুহুর্মুহু আক্রমণে ফালাফালা হয়ে যেতে থাকে লাল হলুদের রক্ষণ।

৬৫ মিনিটে ক্লেইটনকে তুলে অস্কার নামিয়ে দেন দিমিত্রি ডায়মানটাকোসকে। ক্রেসপো, মাদিহ তালালরা বিল্ড আপ প্লের চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ মাঝমাঠে পজেশন নিয়ে আক্রমণ শানাতে পারছিলেন না। ৭০ মিনিটে রাকিপ, নন্দকে তুলে নামানো হয় নুঙ্গা এবং জেসিনকে।

৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনটে বদল ঘটিয়েও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে সুপার সাব হিসাবে নেমে ফের একটা ডার্বি গোলের দেখা পেয়ে যান পেত্রাতোস। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে বেআব্রু করে স্টুয়ার্টের বল চলে গিয়েছিল আগুয়ান পেত্রাতোসের কাছে।

অজি স্ট্রাইকারকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন গিল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সবুজ মেরুন সমর্থকদের আদরের দিমি। ইস্টবেঙ্গল বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণে উঠলেও কখনই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি তারা।

atk-mohun-bagan Mohunbagan Mohun Bagan Super Giants Mohun Bagan Indian Football Kolkata Football East Bengal FC ISL East Bangal mohun-bagan-sg East Bengal Eastbengal