ISL 2024: মরশুমি ডার্বি থাকবে, আর বিতর্ক থাকবে না। তা কখনও হয়? সেই ট্র্যাডিশন মেনেই এবার ডার্বির আগে ধুন্ধুমার বিতর্ক চালু হয়ে গেল। প্রথম আইএসএল ডার্বিরই 'বদলা' নিতে চলেছে মোহনবাগান। মাঠের বাইরের লড়াইয়ে। মোহনবাগান আয়োজিত প্ৰথম ডার্বিতে পর্যাপ্ত টিকিট পাননি, এই কারণ দেখিয়ে মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা।
সেই পথেই হাটল এবার মোহনবাগান। ফিরতি ডার্বির আয়োজক এবার ইস্টবেঙ্গল। সেই ডার্বি এবার বয়কটের পথে হাঁটতে চলেছে মোহনবাগান। রাজনৈতিক সূচি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ডার্বির দিনক্ষণ বদল নিয়ে কলকাতা ময়দানে থ্রিলার দেখছিল ফুটবল জনতা। কখনও রাত নয়টার ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব। কখনও শহর-দিনক্ষণ বদল নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এর মধ্যেই সম্প্রচারকারী সংস্থার আপত্তি মেনে ১০ মার্চ রাত নয়টায় ডার্বি ঘোষণা করেও পিছিয়ে আনতে হয়েছে সাড়ে আটটায়।
এমন টানাপোড়েনের আবহেই এবার ডার্বি বয়কটের ডাক দিলেন বাগান কর্মকর্তারা। পর্যাপ্ত টিকিটের অভাব নয়, বরং টিকিটের দামের বৈষম্য নিয়ে ক্ষুব্ধ গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রেস রিলিজে ম্যাচ আয়োজনের ঠিক ৭২ ঘন্টা আগে ইস্টবেঙ্গলকে আক্রমণ করে মোহনবাগান বলে দেয়, "বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ভারতে লাঞ্ছিত হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের পাল্লায়। হোম টিমের থেকে দ্বিগুণ দাম দিয়ে এওয়ে দলের সমর্থকদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে, এমন ঘটনা অভূতপূর্ব। কলকাতা ডার্বির ইতিহাসে এমন লজ্জাজনক ঘটনা এবারই আমরা প্রত্যক্ষ করছি।
"ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এমন লজ্জাজনক আচরণে খেলার র
মর্যাদা হানি করেছে। অগণিত সদস্য-সমর্থকদের আবেগ আহত হয়েছে, যাঁদের আমাদের ক্লাবের স্তম্ভ। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দ্বর্থহীন ভাষায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। তাই আমরা ঠিক করেছি, আমরা এই ডার্বির কোনও টিকিট বিক্রি অথবা কিনব না। আমাদের তরফে ডার্বি বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।"