এটিকে মোহনবাগান থেকে তিন তারকা নাম লিখিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। এর মধ্যে তিন তারকাই এক সিজন খেলার পর অতীত হয়ে যাচ্ছেন ব্লুজদের হয়ে। প্রবীর দাস আগামী সিজনে নাম লিখিয়েছেন কেরালা ব্লাস্টার্স দলে। রয় কৃষ্ণও বেঙ্গালুরু এফসি পর্ব মিটিয়ে আপাতত আইএসএল ছেড়ে দিচ্ছেন। পুরোনো এ লিগের ক্লাব ওয়েলিংটন ফিনিক্সেই প্রত্যাবর্তন করছেন তিনি।
এবার বেঙ্গালুরু এফসি বাতিল করল সন্দেশ ঝিংগানকেও। টানা ছয় সিজন কেরালা ব্লাস্টার্সে কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। প্ৰথম সিজনে ই সবুজ মেরুন জার্সিতে তিরির সঙ্গে দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন রক্ষণে। পরের সিজনে তিনি ক্রোয়েশিয়ার সিবেনিকে চলে যান। চোট পেয়ে ক্রোয়েশিয়ার লিগে অধিকাংশ ম্যাচেই ডাগ আউটে বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরের সিজনে কলকাতায় ফিরেও সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি ফেরান্দোর ফর্মেশনে। তারপর গত বছর জাতীয় দলের সতীর্থ ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীর পরামর্শে যোগ দেন ব্লুজদের স্কোয়াডে।
বিশাল অভিজ্ঞতা। সেইসঙ্গে রক্ষণের দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে ওঠার সুনাম ছিল সন্দেশের। তবে সাইমন গ্রেসনের দলে প্ৰথম দিকে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারছিলেন না তিনি। টানা আটটা ম্যাচ হারতে হয়েছিল বেঙ্গালুরুকে।
তবে শেষদিকে ব্রুনো রামিরেজের সঙ্গে সন্দেশের জুটি ক্লিক করে গিয়েছিল। দুজনে রক্ষণের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছিলেন। সন্দেশ-রামিরেজের দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপের সুবাদেই প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। যদিও পেনাল্টি শ্যুট আউটে শেষমেশ এটিকে মোহনবাগানের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় চূড়ান্ত লড়াইয়ে।
পরিসংখ্যান বলছে মুম্বই সিটি এফসির মুর্তাদা ফলের থেকেও এরিয়াল বলে বেশি সফল হয়েছেন তিনি। ফল যেখানে ৫৫টি এরিয়াল ডুয়েল জিতেছিলেন। সেখানে সন্দেশ ১১৮ বার এরিয়াল বল দখলের লড়াইয়ে সফল হন। সবমিলিয়ে বেঙ্গালুরুর হয়ে দ্বিতীয় স্পেলে ২২ম্যাচ খেলেন তারকা সেন্টার ব্যাক। ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইএসএল-এ রানার্স হন।
বেঙ্গালুরু ছেড়ে দেওয়ার পর সন্দেশকে পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে আপাতত এফসি গোয়া এবং হায়দরাবাদ এফসি। এফসি গোয়া ছেড়ে দিয়েছে আনোয়ার আলিকে। তাঁর জায়গায় দেশীয় স্টপার হিসাবে যোগ দিতে পারেন সন্দেশ। এমনটাই সূত্রের খবর। অন্যদিকে হায়দরাবাদও চাইছে বাগানের প্রাক্তন সুপারস্টারকে। জানা যাচ্ছে মানোলো মার্কুয়েজের গোয়াই এগিয়ে সন্দেশকে পাওয়ার লড়াইয়ে। আগামী সিজনে সন্দেশের গন্তব্য আপাতত কোথায় হয়, সেটাই দেখার।