ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্রেসপো)
মোহনবাগান: ৩ (জেসন কামিন্স, লিস্টন কোলাসো, পেত্রাতোস)
Indian Super League 2024 Derby East Bengal vs Mohun Bagan: যুবভারতীতে ঝড় উঠল। সেই ঝড়ের নাম সবুজ মেরুন। আর সেই ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল ডার্বির ময়দান। ইস্টবেঙ্গল আরও একবার আইএসএল ডার্বিতে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল। ডুরান্ড-এর সেই ডার্বি জয় অতীত হয়ে গিয়েছে আগেই। সুপার কাপ জয়ও পিছনের সারিতে।
আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল যে কাদায় সেই জায়গাতেই রইল। দশ নম্বরে থেকে মোকাবিলা করতে নেমেছিল শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে থাকা মোহনবাগানের। আর সেই ডার্বিতেই শোচনীয়ভাবে বাগান বাহিনীর হাতে ধুয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসো, জেসন কামিন্স-এর ত্রিফলায় দগ্ধ হয়ে গেল লাল হলুদ শিবির।
ম্যাচে যে সবুজ-মেরুন ঝড় ঘড়ির কাঁটা গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গে সাইক্লোন হয়ে দাঁড়াবে, কে ভাবতে পেরেছিল! শুরুতেই ঝটকা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি মিস করে। বিশাল কাইথ বিশ্রী ফাউল করে পেনাল্টি কার্যত উপহার দিয়েছিলেন। তবে ক্যাপ্টেন ক্লেইটনের শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে নিজের প্রায়শ্চিত্ত ঢেকে দেন কাইথ।
আর এই পেনাল্টি মিস-ই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল শেষ পর্যন্ত। এরপরে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ পুরোটাই নিয়ে নেয় হাবাসের বাগান। হুয়ান ফেরান্দোর বাগান থেকে এই বাগান অনেক গোছালো। রক্ষণের শ্যেপ অটুট রেখে তীব্র ভাবে আক্রমণ করতে পারে। চলতি সিজনে সেভাবে নজর কাড়তে না পারা জেসন কামিন্স রবিবারের যুবভারতীতে অনেক সপ্রতিভ। স্বদেশীয় দিমি পেত্রাতোসের সঙ্গে জুটি বেঁধে নাভিশ্বাস তুলে দিলেন লাল-হলুদ রক্ষণকে।
আরও পড়ুন: ভাগ্য ভালো আমার সামনে পড়েনি… ডার্বিতে পেত্রাতোসকে সংযত হওয়ার হুঁশিয়ারি এবার ডগলাসের
২৭ মিনিটে বাগানের প্ৰথম গোল এল অজি বিশ্বকাপারের পা থেকেই। পেত্রাতোসের বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শট বাঁচিয়েও দিয়েছিলেন বিশাল কাইথ। তবে গ্রিপ করতে পারেননি তিনি। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা কামিন্স বল জালে ঠেলতে ভুল করেননি।
ঠিক দশ মিনিট পর বাগানের খাতায় আসে দ্বিতীয় গোল। এবারেও গোলের কারিগর সেই পেত্রাতোস। তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়েছিল। রিবাউন্ড থেকে ফিরে আসা বল তিনি পাস বাড়ান আনমার্কড লিস্টন কোলাসোকে। কোলাসোই বিরতির ঠিক আগে পেত্রাতোসকে গোল উপহার দিয়ে যান। বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগে কোলাসোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন নন্দকুমার। সেই পেনাল্টি থেকেই ডার্বির ইতিহাসে আরও একটা গোল করে যান অজি স্ট্রাইকার।
বিরতির আগেই তিন গোল হজম করে নিজেদের পাঁচ গোলের কলঙ্ক ছাপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছিল। তবে সেই ইতিহাস অক্ষুন্ন থেকেছে শেষ পর্যন্ত। বরং ক্লেইটন-সাউল কম্বিনেশনে ইস্টবেঙ্গল ১ গোল পরিশোধও করে। ক্লেইটনের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করে চমৎকার ফিনিশ করেন ক্রেসপো।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম একাদশ: প্রভসুখন গিল, হিজাজি মাহের, নুঙ্গা, প্যান্তিচ, নিশু কুমার, সাউল ক্রেসপো, সৌভিক, নন্দকুমার, মহেশ নাওরেম, অজয় ছেত্রী, ক্লেইটন
মোহনবাগান প্ৰথম একাদশ: বিশাল কাইথ, আনোয়ার আলি, জনি কাউকো, দিমিত্রি পেত্রাতোস, মনবীর সিংহ, শুভাশিস বসু, অভিষেক সূর্যবংশী, লিস্টন কোলাসো, সাহাল আবদুল সামাদ, হেক্টর ইয়ুস্তে, জেসন কামিংস