ব্রিটিশ ফুটবলের পরিচিত মুখ তিনি। হাফডজনের বেশি ইংলিশ ক্লাবে খেলে ফেলেছেন। তবে ইংলিশ ফুটবলের তিনি 'সারভাইভার' হিসাবে পরিচিত। 'টেস্টিকুলার ক্যান্সার'কে হারিয়ে মাত্র তিন মাসের মধ্যে মাঠে ফিরে আসেন।
সেই রায়ান এডওয়ার্ডস এবার নাম লেখাতে চলেছেন চেন্নাইয়িন এফসিতে। আওয়েন কয়েলের স্কোয়াডে খেলবেন তিনি আগামী সিজনে।
ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের যুব দল থেকে উত্থান। তারপর সিনিয়র দলে নাম লিখিয়ে একাধিক ক্লাবে লোনে খেলতে হয় এডওয়ার্ডসকে। ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকাকালীনই রচডেল, ফ্লিটউড টাউন, চেষ্টারফিল্ড, ট্র্যানমোর রোভার্স, মোরকাম্বেতে খেলেন অল্প অল্প লোন স্পেলে। ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে চুক্তি শেষে মোরকাম্বের সঙ্গে চার বছর চুক্তি করেন।
মোরকাম্বের পরে এডওয়ার্ডস টানা দু-বছর চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেন প্লিমাউথ আর্গাইলের হয়ে। এরপরে নিজের পুরোনো ক্লাব ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ২০২০ থেকে স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপ ক্লাব ডান্ডি ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন। ২৯ বছরের সেন্টার ব্যাক বিখ্যাত ক্লাবের জার্সিতে ১১২ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। দু-বছর আগে ডান্ডি ইউরোপিয়ান কনফারেন্স লিগের কোয়ালিফায়ারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। সেই দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ছিলেন রায়ান এডওয়ার্ডস। এজেড আলকামার-এর বিপক্ষে কনফারেন্স লিগের দুই লেগে পুরো নব্বই মিনিটই খেলেন।
এই ডান্ডিতে থাকার সময়েই জেসন কামিন্সের সতীর্থ ছিলেন রায়ান এডওয়ার্ডস। এ লিগে নাম লেখানোর আগে মোহনবাগানের হাইপ্রোফাইল রিক্রুট ইংলিশ ফুটবলে হাইবেরিয়ান, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, শ্রেউসবেরি টাউন, লুটন সিটি, রেঞ্জার্সের জার্সিতে চুটিয়ে খেলেছেন। আর দীর্ঘদিন স্কটিশ ফুটবলে খেলার সূত্রে রায়ান-কামিন্স একে অন্যকে ভালোভাবেই চেনেন। ইংলিশ ফুটবলে সতীর্থ হওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসাবেও মোলাকাত হয়েছে কামিন্স-এডিওয়ার্ডসের। এবার ভারতে আলাদা আলাদা দলের জার্সি গায়ে চাপাবেন দুজনে।
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হয়েও কেরিয়ারে ৩১৫ ম্যাচে ১৬ গোল রয়েছে তাঁর। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল, ধংসাত্মক ফুটবলে শারীরিকভাবে তিনি দলকে নির্ভরতা দিতে পারেন।
স্কটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি রেকর্ড-এ বলা হয়েছে, চেন্নাইয়িন এফসির তরফে বড়সড় অঙ্কের প্রস্তাব এসেছে রায়ান এডওয়ার্ডসের কাছে। তবে রায়ানের কাছে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বেশ কিছু লিগ ওয়ান ক্লাবের অফার রয়েছে।
ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের হয়ে এফএ ইউথ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ডান্ডির ক্যাপ্টেন-ও ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনি আইএসএল-এ খেললে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ আরও যে বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।