আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই চুক্তিতেই সরকারি সিলমোহর ফেলে বড় ঘোষণা করে দিল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার লাল-হলুদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল হরমনজোৎ খাবরা, এডুইন ভান্সপাল এবং মন্দার রাও দেশাইয়ের আসন্ন মরশুমে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলবেন।
তিন তারকাই ফ্রি এজেন্ট হিসাবে পা রাখছেন কলকাতার ক্লাবে। খাবরা এবং মন্দার রাও দেশাইয়ের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করলেও ভান্সপালের সঙ্গে দু-বছরের চুক্তি করল ইস্টবেঙ্গল। পুরোনো ক্লাবে সাত বছর পরে প্রত্যাবর্তন ঘটল খাবরার। ২০০৯ থেকে ২০১৬ ইস্টবেঙ্গলের সোনালি সময়ে টানা সাত বছর খেলে গিয়েছিলেন পাঞ্জাব তনয়। সেই সময় টানা সাতবার কলকাতা লিগ জেতার পাশাপাশি দু-বার ফেডারেশন কাপ, একবার আইএফএ শিল্ড এবং সুপার কাপ জিতেছেন। ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার পরেও নিজের ট্রফি ভাগ্য সুপ্রসন্ন থেকেছে খাবরার। চেন্নাইয়িন এবং বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল জেতার সঙ্গে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়েও রানার্স হয়েছেন।
চেন্নাইয়িন এফসিতে চার বছর কাটানোর পর পেশাদারি কেরিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন এডুইন ভান্সপাল। চেন্নাই সিটি এফসিকে আইলিগ জিততে যেমন সাহায্য করেছেন, তেমন তামিল এই তারকা চেন্নাইয়িন এফসিকে রানার্স আপ করতে সাহায্য করেছেন আইএসএল-এ। ফুলব্যাক পজিশনে কেরিয়ার শুরু করলেও চেন্নাইয়নে মিডফিল্ডার হিসাবে নিজের জাত চিনিয়েছেন তারকা। সবমিলিয়ে, ৭১টি আইএসএল ম্যাচ খেলে ভান্সপাল ১ গোল, ৩ এসিস্ট, ১৮১১ নির্ভুল পাস, ১০১ ইন্টারসেপশন এবং ৯৭টি ক্লিয়ারেন্স করেছেন।
লেফট ব্যাক মন্দার আবার আইএসএল জিতেছেন মুম্বই, এফসি গোয়ার জার্সিতে। আসন্ন সিজনের আগে মুম্বই ছাড়ার পর গোয়ান তারকার লোবেরার ওড়িশায় যোগদান ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে মন্দার নাম লেখালেন ইস্টবেঙ্গলে। ২০২০-তে আইএসএল-এ ১০০ ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করা মন্দার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে বলেছেন, "ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে ভালো লাগছে। জীবনের নতুন চ্যাপ্টার যোগ করতে চলেছি। যে কোনও প্রয়োজনে দলে অবদান রাখতে চাই। কোচ কার্লেস একজন দারুণ ট্যাকটিশিয়ান। মানুষ হিসাবেও উনি অসাধারণ। ওঁর কোচিংয়ে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দলকে জেতাতে চাই।"