জাতীয় দলের একাধিক তারকার ঠিকানা এবার ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমার শেখর, নাওরেম মহেশ, এডুইন ভান্সপাল, প্রভসুখন গিলদের মত টিম ইন্ডিয়ার নিয়মিতরা যেমন এবার লাল-হলুদ জার্সি চাপাবেন, তেমন একাধিক সম্ভবনাময় তারকাদেরও ইস্টবেঙ্গল সই করছে আসন্ন মরশুমের জন্য।
স্ট্রাইকার হিসাবে গুরকিরত সিংকে যেমন নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তেমন ডিফেন্ডার হিসাবে প্রভসুখনের দাদা গুরসিমরতেরও আগমন পাকা লাল-হলুদে।
আরও পড়ুন: মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে দুই বিস্ময় প্রতিভায় নজর ইস্টবেঙ্গলের! চুক্তি প্রায় পাকা
এর সঙ্গেই বড়সড় আপডেটে জানা যাচ্ছে, জাতীয় যুব দলের দুই তরুণ তুর্কি ভানলালপেকে গুইতে, গুরনাজ সিং গ্রেওয়ালকে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। ভানলালপেকে মিজোরামের একাডেমির প্রোডাক্ট। আইজল এফসির যুব দলের হয়ে খেলেন তিনি মিডফিল্ড পজিশনে। যুব পর্যায়ে অনুর্দ্ধ-১৭ দলের হয়ে এএফসি আন্ডার-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন তিনটে ম্যাচ। যুব স্তরে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রীতি ম্যাচেও অংশ নিয়েছেন ভানলালপেকে।
গুরনাজ আবার চন্ডীগড় একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। ১৬ বছরের এই যুব প্রতিভা খেলেন মাঝমাঠে। অনুর্দ্ধ-১৭ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেমন খেলেছেন তিনি, তেমন দুটো প্রীতি ম্যাচেও খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। ১৬ বছরের তারকার কেরিয়ারে ইস্টবেঙ্গলই প্ৰথম ক্লাব হতে চলেছে।
গুরকিরত সিং, আবার প্রভসুখন, গুরনাজ, গুরসিমরতের মতই চন্ডীগর ফুটবল একাডেমির প্রোডাক্ট তিনি। টানা পাঁচ বছর একাডেমিতে কাটানোর পর জাতীয় যুব দলে অটোমেটিক চয়েস হয়ে ওঠেন উঠতি এই তারকা। ঘটনা হল, গুরকিরত ফেডারেশনের নিজস্ব দল ইন্ডিয়ান এরোজে যখন খেলতেন তখন ডিফেন্ডার হিসাবে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ দেখে কোচ ফ্লয়েড পিন্টো স্ট্রাইকার করে দেন গুরকিরতকে।
২০১৯-এ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অনুর্দ্ধ-১৮ দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন। সেবার টুর্নামেন্টের টপ স্কোরারও ছিলেন তিনি।
২০২০/২১ সিজনে গুরকিরত ১১ ম্যাচ খেলেন আইলিগে ইন্ডিয়ান এরোজের জার্সিতে। এরপরেই প্রতিশ্রুতিমান ফরোয়ার্ডকে সই করিয়ে নেয় মুম্বই সিটি এফসি। গত সিজনে দেশ বাকিংহাম ৮ ম্যাচে নামান গুরকিরতকে। ২০২৪ পর্যন্ত মুম্বইয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পাঞ্জাবি স্ট্রাইকারের। কলকাতায় তিনি আসছেন লোন ডিলে।
সবমিলিয়ে এই তরুণ প্রতিভারা ইস্টবেঙ্গলকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছতে সাহায্য করতে পারবেন কিনা, সেটা সময়ই বলবে।