ভারতীয় দলের উদীয়মান তারকা ধরা হচ্ছে তাঁকে। রাজস্থান ইউনাইটেডের সেই সেন্টার ব্যাক মেলরয় আসিসিকে এবার টার্গেট করল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল এবার বিদেশি চয়নের পাশাপাশি ভালো মানের দেশীয় ফুটবলার বাছাইয়ে নজর দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশি সহ এগারো তারকাকে রিলিজ করেছে ইস্টবেঙ্গল। আগামী সিজনের জন্য পাঁচ বিদেশি চূড়ান্ত। সোমবারই হায়দরাবাদ ছেড়েছেন ইস্টবেঙ্গলে সই করা জেভিয়ের সিভেরিও এবং বোরহা হেরেরা। ওড়িশা এফসি থেকে ইস্টবেঙ্গল নিয়েছে সাউল ক্রেসপোকে। গত সিজনে খেলা ক্লেইটনের সঙ্গেই রয়েছেন ইভান গঞ্জালেজ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন তারকার দিকে হাত ইস্টবেঙ্গলের! সুপারস্টারকে নিতে মরিয়া কুয়াদ্রাত
দেশীয় তারকাদের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলে আসছেন এডুইন ভান্সপাল, মন্দার রাও দেশাই, নিশু কুমার, নন্দকুমারদের মত তারকারা। সাত বছর পর ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটছে হরমনজোৎ খাবরারও। তবে দেশীয় স্টপার হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের নজরে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের সুমিত রাঠি এবং রাজস্থান ইউনাইটেডের মেলরয় আসিসি।
স্পোর্টসক্রীড়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেলরয়কে পেতে আগ্রহী লাল-হলুদ শিবির। তবে শুধু ইস্টবেঙ্গলই আইলিগে নজরকাড়া সেন্টার ব্যাককে পেতে উৎসাহী আইলিগ, আইএসএল-এর একাধিল ক্লাব। এর মধ্যে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এবং পাঞ্জাব এফসি অনেকটাই কথাবার্তা এগিয়ে গিয়েছিল মেলরয়ের সঙ্গে। তবে হঠাৎ করেই ইস্টবেঙ্গল এবং মেলরয়ের পুরোনো ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসিও তারককে পেতে উৎসাহ প্রকাশ করেছে বলে খবর। এমনকি লোবেরার ওড়িশা এফসিও লড়াইয়ে নেমেছে ভারতীয় তরুণ তুর্কিকে পাওয়ার জন্য।
দুবাইয়ে প্রবাসী ভারতীয় দম্পতির সন্তান মেলরয় আসিসি। তবে মুম্বইয়ে ফুটবলের হাতেখড়ি অল্প বয়সেই। মুম্বই এফসির যুব দল থেকে উত্থান তারকার। ২০১৫-য় মুম্বই এফসি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিপদে পড়েন মেলরয়। এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে পরিযায়ী ফুটবলার হিসাবে কাটাতে হয়েছে কেরিয়ারের শুরুর দিকে অধিকাংশ সময়। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, রিলায়েন্স ইয়ং চ্যাম্পস স্কোয়াড হয়ে আইএসএল-এ চেন্নাইয়িন এফসির রিজার্ভ দলে নাম লেখান ২০১৯-এ। তারপর আরা এফসি, রিয়েল কাশ্মীর রিজার্ভ দল, হায়দেরা স্পোর্টস-এর হয়ে আইলিগে খেলেন।
চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি ছিল। সেখান থেকেই লোনে রাজস্থান ইউনাইটেডে খেলতে এসেছিলেন ২০২১। গত সিজন স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন উঠতি এই তারকা। ভার্সেটাইল প্লেয়ার বলতে যা বোঝায় মেলরয় সেরকমই। কেরিয়ারের প্ৰথম দিকে সেন্টার ব্যাক হিসাবে খেলা শুরু করলেও রাজস্থানে এসে হোল্ডিং মিডফিল্ডার পজিশনে তাঁকে খেলান কোচ ফ্রান্সিসেক বোনে। সেখানেই গোটা সিজন ধরে পিভট হয়ে রক্ষণে নির্ভরতা দিয়েছেন তিনি।
নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পরেই আইএসএল এবং আইলিগের একাধিক ক্লাব আপাতত মেলরয়কে পেতে ঝাঁপিয়েছে। ঘটনা হল, লোন পর্ব মিটিয়ে রাজস্থান ইউনাইটেডের সঙ্গে ২০২৫ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ তিনি। তাই যে দলেই তিনি যাবেন, সেই দলকে মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে।