/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/khabra.jpg)
আইএসএল-এ তিনটি সিজন খেলে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রত্যেকবারেই হতাশা সঙ্গী হয়েছে। শ্রী সিমেন্ট জমানার পর ইমামি গোষ্ঠী বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী হিসাবে পদার্পন ঘটেছে ইস্টবেঙ্গলের। তবে এবার অবশ্য কোমর বেঁধে নামছে লাল-হলুদ শিবির।
আইএসএল অভিজ্ঞ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে যেমন কোচের হটসিটে বসানো হয়েছে, তেমন দেশি-বিদেশি তারকাদের চুক্তিতে সই করানোর ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে বেশ নজর কাড়ছে লাল-হলুদ।
সোমবার নিশু কুমার, নন্দকুমারদের মত প্রতিষ্ঠিত তারকাদের যেমন সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, তেমন বিদেশির কোটায় সাউল ক্রেসপো, জেভিয়ের সিভেরিওকে নেওয়ার কথা গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিল মশাল বাহিনী। এবার ইস্টবেঙ্গল সোমবার একসঙ্গে তিন তারকাকে একসঙ্গে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল। মন্দার রাও দেশাই, এডুইন ভান্সপালের সঙ্গেই লাল-হলুদে প্রত্যাবর্তন ঘটছে হরমনজোৎ খাবরার।
পুরোনো ক্লাবে সাত বছর পরে প্রত্যাবর্তন ঘটল খাবরার। ২০০৯ থেকে ২০১৬ ইস্টবেঙ্গলের সোনালি সময়ে টানা সাত বছর খেলে গিয়েছিলেন পাঞ্জাব তনয়। সেই সময় টানা সাতবার কলকাতা লিগ জেতার পাশাপাশি দু-বার ফেডারেশন কাপ, একবার আইএফএ শিল্ড এবং সুপার কাপ জিতেছেন। ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার পরেও নিজের ট্রফি ভাগ্য সুপ্রসন্ন থেকেছে খাবরার। চেন্নাইয়িন এবং বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল জেতার সঙ্গে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়েও রানার্স হয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে রিউনিয়ন ঘটানো খাবরা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে দিয়েছেন, "ঘরে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে। এই ক্লাব আমাকে এত কিছু দিয়েছে। সেই সময় ফিরিয়ে আনার আবার সুযোগ পাচ্ছি। সমর্থকদের সামনে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করার জন্য তর সইছে না। ডার্বির জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু হয়ে গেল। অতীতে যে ম্যাচ আমাদের সেরাটা দিতে বাধ্য করত। কোচ কার্লেসের সঙ্গে রিউনিয়ন ঘটাতে পারাটাও দারুণ ব্যাপার। উনি আমাকে উন্নত ফুটবলার হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন।"
গত আটটা ডার্বিতেই হার হজম করেছে ইস্টবেঙ্গল। এবার অবশ্য দল গঠনে তুলনামূলকভাবে জোরালো বার্তা দিচ্ছে লাল-হলুদ শিবির। খাবরাও ডার্বিতে ভাগ্য বদলানোর ডাক দিচ্ছেন পুরোনো পরিবারে ফিরে।
তিন তারকাকে সই করিয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। "মন্দার এমন একজন যাঁর অতীতে আইএসএল-এ ক্যাপ্টেন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দলে দারুণ সংযোজন ও। খাবরা একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, ও এমন একজন যাঁকে সমর্থকরা ভালবাসেন। বেঙ্গালুরুতে ও আমার অন্যতম অধিনায়ক ছিল। ভান্সপালের সবথেকে বড় বিষয় হল ও একাধিক পজিশনে খেলতে পারে। ও ফুটবলার হিসাবে দারুণ প্যাশনেট যে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করে না।"