পাল্লা দিয়ে আইএসএল-এ দল গড়ছে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক জাতীয় স্তরের ফুটবলারের ঠিকানা এবার ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি চয়নেও যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
এমনকি ব্যাক আপ স্কোয়াড।গঠনেও যথেষ্ট তৎপর হয়েছে লাল-হলুদ শিবির। গোলকিপার প্রভসুখন গিলের সঙ্গেই তাঁর দাদা গুরসিমরত সিংকে নিশ্চিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। সম্ভবত প্ৰথম একাদশের অটোমেটিক চয়েস হবেন না গুরসিমরত। তবে ব্যাক আপ স্কোয়াডের ফুটবলার হিসাবে যথেষ্টই হেভিওয়েট তিনি।
এবার ইস্টবেঙ্গল চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল মুম্বই সিটি এফসির স্ট্রাইকার গুরকিরত সিংকে। প্রভসুখন, গুরসিমরতের মতই চন্ডীগর ফুটবল একাডেমির প্রোডাক্ট তিনি। টানা পাঁচ বছর একাডেমিতে কাটানোর পর জাতীয় যুব দলে অটোমেটিক চয়েস হয়ে ওঠেন উঠতি এই তারকা। ঘটনা হল, গুরকিরত ফেডারেশনের নিজস্ব দল ইন্ডিয়ান এরোজে যখন খেলতেন তখন ডিফেন্ডার হিসাবে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ দেখে কোচ ফ্লয়েড পিন্টো স্ট্রাইকার করে দেন গুরকিরতকে।
২০১৯-এ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অনুর্দ্ধ-১৮ দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন। সেবার টুর্নামেন্টের টপ স্কোরারও ছিলেন তিনি।
২০২০/২১ সিজনে গুরকিরত ১১ ম্যাচ খেলেন আইলিগে ইন্ডিয়ান এরোজের জার্সিতে। এরপরেই প্রতিশ্রুতিমান ফরোয়ার্ডকে সই করিয়ে নেয় মুম্বই সিটি এফসি। গত সিজনে দেশ বাকিংহাম ৮ ম্যাচে নামান গুরকিরতকে। ২০২৪ পর্যন্ত মুম্বইয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পাঞ্জাবি স্ট্রাইকারের। কলকাতায় তিনি আসছেন লোন ডিলে।
এবার গুরকিরতের ঠিকানা ইস্টবেঙ্গল। নতুন দলের জার্সিতে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে ফেলতে পারবেন কিনা , সেটা সময়ই বলবে।