দেশের অন্যতম উঠতি প্রতিভা হিসাবে ধরা হয় তাঁকে। কোচ হাবাস তো বটেই হুয়ান ফেরান্দোও স্নেহ করেন ২১ বছরের সুমিত রাঠিকে। সেই সুমিত রাঠিই আসন্ন সিজনে নাম লেখাতে পারেন ইস্টবেঙ্গলে। অন্তত সূত্রের খবর এমনটাই।
ফেডারেশনের এলিট একাডেমি থেকে উঠে আসা এই তারকা ইন্ডিয়ান এরোজের হয়ে আইলিগে ঝলমলে পারফরম্যান্স করার পর এটিকে রিজার্ভ দলের জন্য সই করায় সুমিতকে। পরের সিজনেই হাবাস সুমিতকে ডেকে নিয়েছিলেন সিনিয়র দলে। আর সিনিয়র দলের হয়ে প্ৰথম সিজনেই ১৪ ম্যাচে অংশ নেন। দলকে তৃতীয়বার আইএসএল ট্রফি জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফর নগরের রাঠি। সেই সিজনে আইএসএল-এর এমার্জিং প্লেয়ারও হন তিনি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে জন্মানো এই তারকাকে টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের! লাল-হলুদের সঙ্গেই লড়াইয়ে একাধিক ISL ক্লাব
এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের মার্জারের পর ক্লাবের তরফে পাঁচ বছরের চুক্তি করা হয় উদীয়মান এই প্রতিভার সঙ্গে। তবে হাবাসের সময়ে গেম-টাইম বেশি পেলেও ফেরান্দো জমানায় সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিয়ান নাসিরিদের মত তরুণদের সুযোগ দিলেও বাগানের স্প্যানিশ কোচ সেভাবে ভরসা করেননি সুমিতের মত প্রতিভাকে। গত সিজনে সুমিতকে একটা ম্যাচেও নামাননি সবুজ মেরুন কোচ।
এমন অবস্থায় সুমিত রাঠিকে পড়শি ক্লাবে লোনে পাঠিয়ে দিতে পারে সবুজ মেরুন শিবির। ইস্টবেঙ্গল আপাতত নিঃশব্দে দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত। সের্জিও লোবেরা কাণ্ডের পর শিক্ষা নিয়ে আড়ালে দল গঠন করছেন কর্তারা। চার বিদেশি চূড়ান্ত। ক্লেইটন, জেভিয়ের সিভেরিও, বোরহা হেরেরা, সাউল ক্রেসপো রয়েছেন। চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইভানকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কর্তাদের তরফে।
দেশি ফুটবলার বাছাইয়ে ইস্টবেঙ্গল এবার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে চলেছে। নিশু কুমার, নন্দকুমার, হরমনজোৎ খাবরা, মন্দার রাও দেশাইদের নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে চলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
এর সঙ্গেও রক্ষণে সুমিত রাঠির মত প্রতিশ্রুতিমান তারকা লাল-হলুদে যোগ দিলে, ইস্টবেঙ্গল যে আরও শক্তিশালী হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।