/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/East-Bengal-9.jpg)
স্টিফেন কনস্টানটাইনের ভাগ্য আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ছাঁটাই হচ্ছেন তিনি। তবে পরবর্তী কোচ কে হতে চলেছেন, তা নিয়ে শনিবার লাল-হলুদ তাঁবুতে মহা-বৈঠক হতে চলেছে দুপুরের দিকে। ইমামি কর্তারা আসছেন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। সেই বৈঠকেই কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যাবে, পরবর্তী কোচ কে হবেন সেই বিষয়ে।
ইস্টবেঙ্গলের তরফে বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে বেশ কিছু কোচের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে সের্জিও লোবেরো, হাবাস, চেন্নাইয়িন এফসির থমাস বদরিচের নাম। তবে কোচ হওয়ার দৌড়ে এঁদের কেউ নন, অনেকটাই এগিয়ে জোসেফ গামবাউ। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে তিনি এখনও চূড়ান্ত নন।
শনিবারের ক্লাব-বৈঠকের পরেই ঠিক হয়ে যাবে কনস্টানটাইনের উত্তরসূরির নাম। জানা যাচ্ছে, কনস্টানটাইনকে মরসুমের শেষ পর্যন্ত রেখেই এগোনো হবে। সুপার কাপ পর্যন্তই দায়িত্বে থাকার সম্ভাবনা ব্রিটিশ কোচের যদি না তিনি পদত্যাগ করেন। নতুন কোচ নতুন মরশুম থেকেই দায়িত্ব নেবেন।
আরও পড়ুন: ইমামি কর্তাকে গোপন বার্তায় নীতু সরকারের নামে উস্কানি বাগান সচিবের! পাল্টা বোমা ইস্টবেঙ্গলের
বৈঠকে দল গঠন নিয়েও আলোচনা হবে। দল গঠন নিয়ে লাল-হলুদের বড় সমস্যা ভালো মানের দেশীয় ফুটবলার বাছাই। ক্লাবের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল এফডিএসএল-এর কাছে ড্রাফট সিস্টেম চালু করার আর্জি জানানো হবে। নামি দেশীয় ফুটবলাররা সকলেই কোনও না কোনও দেশীয় ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে চুক্তিবদ্ধ। এমন অবস্থায় এফডিএসএল-এর কাছে ড্রাফট সিস্টেম চালু করার জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফ থেকেও।
যাইহোক, সূত্রের খবর ইস্টবেঙ্গলের তরফে কোচ হিসাবে চাওয়া হচ্ছে হাবাসকে। তবে হাবাসের বেতন অনেকটাই বেশি। তবে গামবাউয়ের প্রোফাইলও আকর্ষণীয়। টানা সাত বছর বার্সেলোনার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন। মেসিদের সোনার প্রজন্মের বার্সা ফুটবলারদের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বার্সেলোনার সঙ্গে এস্প্যানিওলের যুব দলের কোচও ছিলেন। এ লিগে এডিলেড ইউনাইটেড, ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্স-এ কোচিং করিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান যুব দলের কোচ হওয়ার সঙ্গে জাতীয় দলেরও সহকারী কোচ ছিলেন। ভারতে দুই পর্যায়ে ওড়িশা এফসির দায়িত্ব সামলেছেন।
হাবাস নাকি গামবাউ- সেই প্রশ্নের মীমাংসা সম্ভবত হয়ে যাবে শনিবারই।