ইস্টবেঙ্গল: ২ (অজয় ছেত্রী, ক্লেইটন)
মোহনবাগান: ২ (সাদিকু, পেত্রাতোস)
Mohun Bagan Super Giant and East Bengal Match: ডুরান্ড কাপে হয়েছিল। সুপার কাপেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। তবে আইএসএল-এ এসেই আটকে গেল। যুবভারতীটে শনি সন্ধেয় মোহনবাগানকেই মাটি ধরানোর সুযোগ হাতছাড়া হল ইস্টবেঙ্গলের। দু-দুবার এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। কলকাতা ডার্বি ২-২ ব্যবধানে অমীমাংসিতভাবেই শেষ হল।
অজয় ছেত্রীর গোলে ম্যাচের শুরুতেই লিড নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে বেশিক্ষণ মোহনবাগানকে আটকে রাখা যায়নি। আর্মান্দো সাদিকু দুরন্ত ফিনিশিংয়ে বাগানকে ম্যাচে ফিরিয়ে ছিলেন।
দ্বিতীযার্ধে পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্যাপ্টেন ক্লেইটন। তবে একদম শেষলগ্নে সমতা ফিরিয়ে বাগানের মুখ রক্ষা করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
আইএসএল-এর ডার্বি সেই অধরাই থাকল। তবে কার্লেস জমানাতেই এই প্ৰথম আইএসএল ডার্বি থেকে পয়েন্ট অর্জন করতে সমর্থ হল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ম্যাচের শুরুর ঝড়েই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েছিল অজয় ছেত্রীর দুরন্ত ট্যাপ ইন থেকে। নিশুর ক্রস দারুণভাবে ফিনিশ করে যান অজয়। তবে গোল হজম করার পর হতোদ্যম হয়ে যায়নি বাগান।
আরও পড়ুন- ‘দাদা’ পাকিস্তানের কাছে হেরে মুখ পুড়ল ‘ভাই’ বাংলাদেশের! থ্রিলারে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছুটি টাইগারদের
হাবাসের এই বাগান অনেক ডাইরেক্ট। টানা পাস খেলে মোহনবাগান ম্যাচে সারাক্ষণই দাপট দেখিয়ে গেল। প্রথমার্ধে ঝড়ের গতিতে ইস্টবেঙ্গল রক্ষনে কাঁপুনি তুলছিলেন সাহাল, সাদিকু, পেত্রাতোসরা। এমনকি হ্যামিল আক্রমণে যোগ দিয়ে নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছিলেন লাল-হলুদ অর্ধে।
আর হ্যামিলই বাগানের হয়ে সমতা ফেরাতে ভূমিকা রেখে গেলেন। তাঁর মাপা ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়ে দারুণভাবে ফ্লিক করে ১-১ করে যান সাদিকু।
এরপরে প্ৰথমার্ধের ঝড় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে থরহরিকম্পমান দশা হয়। সাদিকু আরও একটি গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস না করলে ইস্টবেঙ্গল বিরতির আগেই ২-১ এ এগিয়ে যেতে পারত।
বিরতির পর সেই একই আগ্রাসী ভঙ্গিতে ম্যাচ শুরু করে বাগান। তবে প্রতি আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল গোলশোধ করে যায়। বক্সের মধ্যে মহেশকে অফ দ্য বল ফাউল করে বসেন দীপক টাংরি। পেনাল্টি থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণি পিচ কেন হচ্ছে বারবার! জয় শাহের বোর্ডকে বেনজির আক্রমণ সৌরভের, তুঙ্গে ক্ষোভ
দ্বিতীয়ার্ধেও বল পজেশন অনেক বেশি রেখে আক্রমণ করে চলছিল মেরিনার্সরা। কোচ কুয়াদ্রাত এই সময়ে তাজা পায় নামিয়ে দেন মাঠে। বিষ্ণু, ভিপি সুহের, এডউইনকে পরিবর্ত হিসাবে নামান লাল-হলুদের স্প্যানিশ বস। অনিদিকে বাগান বস হাবাস নামিয়ে দেন জেসন কামিন্স, সুমিত রাঠিকে। তুলে নেওয়া হয় দীপক টাংরি, অনিরুদ্ধ থাপাকে।
গোল করার পর ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ আঁটোসাঁটো রেখে প্রতি আক্রমণ করছিল। অন্যদিকে মনবীর টানা আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে ব্যস্ত রাখছিলেন। কুয়াদ্রাতের এই রক্ষণাত্মক খেলার কৌশলই শেষে কাল হয়ে দাঁড়াল। ৮৭ মিনিটে মনবীরের নিখুঁত ক্রস থেকেই ২-২ করে যান পেত্রাতোস।