/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/isl-jindal.jpg)
গোটা আইএসএল জুড়েই রেফারিং বিতর্ক তাড়া করেছে আয়োজক এফডিএসএল কর্তৃপক্ষকে। প্লে অফে সুনীল ছেত্রীর বিতর্কিত ফ্রিকিকে গোল করার ঘটনা এখনও টাটকা। কেরালা ব্লাস্টার্স প্রতিবাদে মাঠই ছেড়ে দিয়েছিল। ফাইনালেও তাড়া করল রেফারিং বিতর্ক।
এবার অবশ্য খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে বেঙ্গালুরু। এমনটাই দাবি স্বয়ং বেঙ্গালুরু মালিক পার্থ জিন্দালের। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে বিশাল কাইথের হাতে ভর করে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পরেছে এটিকে মোহনবাগান। ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ভারতসেরা হয়েছে সবুজ মেরুন জার্সিধারীরা।
তবে নির্ধারিত সময়ে খেলার শেষে ২-২ গোলে ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল। এটিকেএমবির হয়ে দুটো গোল-ই করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তবে সবুজ মেরুন শিবিরের দ্বিতীয় পেনাল্টি নিয়ে সংশয় ছিল। কিয়ান নাসিরিকে বক্সের বাইরে ফাউল করেছিলেন পাবলো পেরেজ। তবে কিয়ান বক্সের মধ্যে পড়ে যান। তারপরেই রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। বেঙ্গালুরু এফসি ফুটবলাররা রেফারির কাছে বিষয়টি তুলে ধরলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। যেখান থেকে পেত্রাতোস নিজের দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময় এবং টাইব্রেকারে নিয়ে যান।
I’m sorry this league @IndSuperLeague definitely needs to introduce VAR - some of these decisions ruin big games and influence big games - I am very proud of the boys @bengalurufc - you didn’t lose today - this one hurts because the decisions were just shocking. @IndianFootball
— Parth Jindal (@ParthJindal11) March 18, 2023
পার্থ জিন্দাল সরাসরি নিশানা করেছেন রেফারিকে। ম্যাচের পরেই। তিনি এটিকে মোহনবাগানের দ্বিতীয় পেনাল্টি প্রাপ্তির বিষয়টি আলাদা করে উল্লেখ না করলেও গোটা ম্যাচের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষের পরেই পার্থ জিন্দালের টুইট, "বলতে খারাপ লাগছে। তবে আইএসএল-এ ভার সিস্টেম চালু করা হোক। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত বড় ম্যাচের মাধুর্য নষ্ট করে দেয়। বড় ম্যাচে প্রভাব ফেলে দেয়। নিজেদের ফুটবলারদের জন্য গর্ববোধ করছি। বেঙ্গালুরু এফসি এদিন হারেনি। তবে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত চমকে দেওয়ার মত ছিল।"
যাইহোক, ফাইনালের ফলাফল নির্ধারণ হল গতবারের মত টাইব্রেকারে। এটিকেএমবির হয়ে গোল করে গেলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, কিয়ান নাসিরির। বেঙ্গালুরুট হয়ে সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণ, আলান কোস্টা গোল করে গেলেও বিশাল কাইথ সেভ করে দেন ব্রুনো রামিরেসের শট। এরপরে পঞ্চম শট মিস করে বসেন পাবলো পেরেজ। তারপরেই ফতোরদার গ্যালারিতে উড়তে থাকে সবুজ-মেরুন আবির।