নতুন মরসুমের জন্য সেরার সেরা দল গড়ে যখন প্রিসিজনের জন্য মাঠে নামবে, সেই সময়েই বাগানে গোলকধাঁধা নিয়ে হাজির হয়ে গেলেন ফ্লোরেন্টিন পোগবা। তিনি হঠাৎ করেই শুক্রবার মাঝরাতে হাজির হয়ে গেলেন কলকাতায়। কোচ হুয়ান ফেরান্দো, অজি সুপারস্টার জেসন কামিন্সের সঙ্গে।
তারপরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, তিনি আগামী সিজনেও মোহনবাগানে থাকছেন কিনা, তাই নিয়ে। এমনিতে মোহনবাগানের সব বিদেশি এবার চূড়ান্ত। আক্রমণে দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে জেসন কামিন্স, সাদিকুকে। মাঝমাঠের দায়িত্ব সামলাবেন হুগো বুমোস।
রক্ষণে বিদেশি কোটায় কার্ল ম্যাকহিউয়ের সঙ্গেই থাকছেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। ছয় বিদেশির কোটা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় জনি কাউকোকে আনরেজিস্টার্ড হিসাবে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিরি, স্লাভকোর মত ডিফেন্ডারকে এবার মরশুম শুরুতেই রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় পোগবার ফিরে আসা নতুন করে জল্পনায় জন্ম দিয়েছে। আসলে ঘটনা অন্য। পোগবাকে সরকারিভাবে এখনও রিলিজ করা হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি এখনও বাগানের ফুটবলার। ২০২৪-এর মে মাস পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে কলকাতার জায়ান্টের সঙ্গে। তাছাড়া দলের যে হোয়াটসআপ গ্রুপ রয়েছে, সেখানেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
ক্লাবের হোয়াটসআপ গ্রুপেই দলের প্রাক মরশুম অনুশীলন শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। তা দেখেই পোগবা নিজের খরচে কলকাতায় হাজির হয়ে গিয়েছেন। ক্লাব নাকি পোগবার আগমনের আগাম আগমনের খবর জানতেও পারেনি।
গত সিজনের শুরুতে ফ্লোরেন্টিন পোগবাকে ঢাকঢোল বাজিয়ে সই করানোর খবর জানিয়েছিল মোহনবাগান শিবির। ক্যাপ্টেনও করা হয় পল পোগবার দাদাকে। তবে মাঠে নেমে বাগান শিবিরের আস্থা মোটেই অর্জন করতে পারেননি তিনি। প্ৰথম একাদশে জায়গা হারানোর পর চোট পেয়ে গোটা সিজন থেকেই একসময় ছিটকে যান। শেষমেশ তাঁর জায়গায় সই করানো হয় স্লাভকো দামজানোভিচকে। তিনি দুর্ধর্ষ খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে অন্যতম সেরা ভূমিকা রাখেন।
এবার সেই দামজানোভিচ সই করেছেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। পোগবাকে আপাতত কত তাড়াতাড়ি রিলিজ দেয় বাগান, সেটাই দেখার।