বেশ প্যাঁচে পড়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। ফেডারেশনের তরফে বেশ কয়েক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে ইয়োলো ব্রিগেডকে। জানা যাচ্ছে, আইএসএল কর্তৃপক্ষের তরফে পৃথকভাবে জরিমানা করা হতে চলেছে তারকা খচিত দলকে।
তবে কেরালা ব্লাস্টার্স এবার প্লেয়ার কেনাবেচায় জোর দিয়েছে। এর আগে মোহনবাগানের তরফে দু-দুবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। মোহনবাগান চাইছিল প্রীতম কোটাল এবং হরমিপাম রুইভার সোয়াপ ডিল করাতে। দ্বিতীয় অফার ছিল লিস্টন কোলাসো এবং সাহাল আব্দুল সামাদের মধ্যে সোয়াপ ডিল। তবে দুবার-ই বাগানের অফার নাকচ করে দিয়েছিল কেরালা।
এবার অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই বিদঘুটে। আর্থিক চাপে কেরালা এবার সেই সোয়াপ ডিলের সঙ্গেই ৩ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি চাইছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার সংস্থার হাত ধরেই ভারতীয় ফুটবলে ফের আতলেতিকো মাদ্রিদ! বিরাট ঘটনায় তোলপাড়
ঘটনা হল, সাহালকে পাওয়ার জন্য শুধু মোহনবাগানই নয়, কেরালার কাছে তদ্বির শুরু করেছে বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, ওড়িশা এফসি এমনকি চেন্নাইয়িন এফসিও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন ভালো দল গড়ার জন্য অর্থ কোনও বাধা হবে না।
আরব আমিরশাহির আল ইত্তিহাদ একাডেমি থেকে উত্থান। কর্মসূত্রে বাবা-মা দুজনেই থাকতেন আরব মুলুকে। তবে ওখান থেকে প্রাথমিক ফুটবল পাঠ সম্পন্ন করেই কেরালায় ফিরে স্থানীয় পর্যায়ে ভাল পারফরম্যান্স করার সুবাদে সন্তোষ ট্রফিতে সুযোগ পেয়ে যান। আর সন্তোষে ঝকঝকে পারফরম্যান্স করার সুবাদে কেরালা ব্লাস্টার্স নিজেদের বি দলের জন্য সই করিয়েছিল সাহালকে। তারপরে উল্কার গতিতে ভারতীয় ফুটবলে উঠে এসেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া দলের সহকারী কোচ রেনে মুলস্টেইন কেরালার কোচ থাকার সময় যুব দল থেকে বেশ কয়েকজন তরুণকে সিনিয়র দলের অভিষেক ঘটিয়ে দেন। এর মধ্যে ছিলেন সাহালও। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ডেভিড জেমস হোক বা এলকো স্যাতোরি হয়ে বর্তমান ইভান ভুকুমানোভিচ- প্রত্যেক কোচের নির্ভরযোগ্য অস্ত্র হয়ে উঠেছেন সাহাল।
আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। তবে সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসাবে যেমন খেলতে পারেন তেমন উইং ধরেও অপারেট করতে পারেন। এমন একজন ভার্সেটাইল ফুটবলার যে কোনও দলের সম্পদ। তাই সাহালের মত ফুটবলারকে পাওয়ার জন্য যে এরকম দর কষাকষি হবে, সেটাই প্রত্যাশিত।