গত সিজনেও এফসি গোয়ার জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন। যুব বিশ্বকাপে খেলা সেই আনোয়ার আলিকেই এবার তুলে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। আগামী সিজনে আনোয়ার আলি সবুজ মেরুন জার্সিতে মাঠ মাতাবেন।
মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগেই এফসি গোয়ার তরফে একসঙ্গে সাত তারকাকে রিলিজ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। হার্নান সান্তানা, মার্ক ভ্যালিয়েন্টের মত বিদেশি তো বটেই আনোয়ার আলির সঙ্গে যুব বিশ্বকাপে খেলা নাওরেমকেও ছেড়ে দিয়েছিল গউররা। এছাড়াও মাকন চোটে, রেডিম টাং, লেনি রদ্রিগেজকেও রিলিজ করা হয়েছিল অরেঞ্জ বাহিনী থেকে। লেনি রদ্রিগেজ যোগ দিতে চলেছেন লোবেরার ওড়িশা এফসিতে।
দিল্লি এফসি থেকে ১৮ মাসের লোনে খেলতে এসেছিলেন আনোয়ার আলি। সেই লোন পর্ব মিটতেই তারকার প্রস্থান ঘটে মান্ডবির তীর থেকে। এখনও দিল্লি এফসির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে আনোয়ারের। মোহনবাগানে তিনি খেলতে আসছেন লোনেই। ব্রেন্ডন হ্যামিলের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি।
যুব বিশ্বকাপ মাতানো এই তরুণের ফুটবল জীবন শুরুতেই শেষ হতে বসেছিল। বছর চারেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে আনোয়ারের মাঠে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। সেই বিপদ কাটিয়েই তিনি মাঠে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: সন্দেশকে বাতিল করল বেঙ্গালুরু! সঙ্গেসঙ্গেই তারকাকে পেতে ঝাঁপাল দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি
মিনার্ভা পাঞ্জাবের যুব স্তর থেকে উত্থান আনোয়ারের। মিনার্ভার ইউথ সেট আপে খেলার সময়েই যুব দলের তৎকালীন কোচ লুইস নর্তন দ্য ম্যাতোস বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডেকে নেন আনোয়ারকে। ভারতের হয়ে গ্রুপ পর্বের তিনটে ম্যাচেই খেলেছিলেন তিনি। এছাড়াও আর্জেন্টিনা যুব দলকে হারানোর ঐতিহাসিক ম্যাচেও আনোয়ারের কৃতিত্বে অনস্বীকার্য।
বিশ্বকাপে খেলার পর আনোয়ার সই করেন ইন্ডিশন এরোজের হয়ে। পরের সিজনেই মুম্বই সিটির হয়ে তিন বছরের চুক্তি করেন তিনি। প্ৰথম সিজনে লোনে ইন্ডিয়ান এরোজে খেলেন। দ্বিতীয় সিজনে মুম্বই নিজেদের স্কোয়াডে প্রতিশ্রুতিমান সেন্টার ব্যাককে রাখলেও হৃদরোগের জন্য ছেড়ে দিতে হয় আনোয়ারকে।
ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পরের সিজনে মহামেডান এসসি সই করেছিল আনোয়ারকে। এমনকি সমস্যা এড়াতে একসময় সাদা-কালো কর্তারা আনোয়ারকে ছেড়ে দিতেও রাজি হয়।
২০২১-এ ফেডারেশনের তরফে তারকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ফেডারেশন মাঠে ফেরার অনুমতি দেয়। তিনি সই করেন দিল্লি এফসিতে। তারপরের সিজনেই এফসি গোয়ার হয়ে শেষমেশ আইএসএল-এ অভিষেক ঘটে তাঁর।
উঠতি প্রতিভাবান তরুণকে নজরে রেখেছিলেন বাগান কোচ ফেরান্দো। এফসি গোয়ার সঙ্গে লোন-পর্ব শেষ হতেই দিল্লি এফসির সঙ্গে কথাবার্তা চালু করে দেয় বাগান শিবির। তারপরেই আনোয়ারের কলকাতা-য় প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি পাকা হয়।