দেশের অন্যতম উঠতি প্রতিভা তিনি। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। চেন্নাইয়িন এফসির ক্যাপ্টেন অনিরুদ্ধ থাপাকে পাওয়ার জন্য এবার মরিয়া হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। সূত্রের খবর, থাপাকে পাওয়ার জন্য বড়সড় ট্রান্সফার ফি দিতেও দ্বিধা করছে না মেরিনার্স শিবির।
২০২৪ পর্যন্ত চেন্নাইয়িনের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে উত্তরাখন্ড থেকে উঠে আসা তারকার। চুক্তি শেষের আগেই বাগান কর্তৃপক্ষ অনিরুদ্ধকে ট্রান্সফার ফি হিসাবে সই করাতে চাইছে। জাতীয় দলের মাঝমাঠের ইঞ্জিন অনিরুদ্ধর সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চলেছে সবুজ মেরুন শিবির। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
গত সিজনে বাগানের ক্যাপ্টেন ছিলেন প্রীতম কোটাল। কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে সোয়াপ ডিলে বাগানের প্রীতম সম্ভবত দল বদলে ফেলবেন। আর অনিরূদ্ধের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভবিষ্যৎ-এ সবুজ মেরুন ক্যাপ্টেনশির আর্মব্যান্ড উঠতে পারে তাঁরই হাতে।
আরও পড়ুন: গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী গোলকিপারের জন্য ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল! পুরোনো শিষ্যের জন্য সবুজ সংকেত কুয়াদ্রাতের
তবে অনিরুদ্ধকে পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসিও। বড় অঙ্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যনগরীর ক্লাবটির তরফ থেকেও। ওড়িশা এফসিতে নাম লেখানো আহমেদ জাহুর বদলি হিসাবে মুম্বইয়ে ভাবা হচ্ছে অনিরুদ্ধকে। তবে এই লতাইয়ে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে সবুজ মেরুন শিবির-ই।
ফেডারেশনের এলিট একাডেমির প্রোডাক্ট অনিরুদ্ধ। টিম ইন্ডিয়ার অনুর্দ্ধ-১৯ দলের নেতা হিসেবে নজরকাড়া পারফর্ম করার পরেই ফ্রান্সের লিগে মেটজ-এ নির্বাচিত চার তারকার অন্যতম হিসাবে ট্রেনিং নিয়ে এসেছিলেন।
২০১৬-য় চেন্নাইয়িন এফসি লম্বা চুক্তিতে রিজার্ভ দলের জন্য সই করেছিল থাপাকে। তবে সেই সিজনেই ধনচন্দ্র সিং চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর প্ৰথম স্কোয়াডে সুযোগ পান। এরপরে এক মরশুম মিনার্ভা পাঞ্জাবে লোনে খেলে চেন্নাইয়িনে ফিরে আসেন। আর প্রত্যাবর্তনের সেই সিজনেই অনিরুদ্ধ আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হন চেন্নাইয়িনের জার্সিতে। এটিকের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের পর তৎকালীন কোচ জন গ্রেগরি অনিরুদ্ধকে ভারতীয় ফুটবলের পরবর্তী সুপারস্টার বলে দিয়েছিলেন। গোটা সিজন জুড়েই অসাধারণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা প্রতিভায় নজর পড়ল মোহনবাগানের! প্রীতমকে ছাড়তে পারে সবুজ মেরুন
সেই সিজনের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অনিরুদ্ধকে। চেন্নাইয়িনের সেরার সেরা অস্ত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। থাপার সবথেকে বড় গুন মাঝমাঠে খেলা পরিচালনা করার দক্ষতা। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে পাসিং ডিস্ট্রিবিউশন যেমন অসম্ভব ভালো, তেমন বল দখলের লড়াইয়েও স্বচ্ছন্দ তিনি। আসন্ন সিজনে জনি কাউকোকে রাখা হচ্ছে না। কাউকোর বদলি হিসাবে মাঝমাঠে আইএসএল অভিজ্ঞ এক মিডফিল্ডার সই করাতে চাইছিলেন কোচ ফেরান্দো।
চেন্নাইয়িন থেকে কলকাতা নাকি মুম্বই অনিরুদ্ধ থাপার ঠিকানা আপাতত কোথায় হয়, সেটাই দেখার।