গত সিজনে সেন্ট্রাল ব্যাক বোঝাই স্কোয়াড গড়েছিল এটিকে মোহনবাগান। একসঙ্গে চোট পাওয়া তিরিকে ধরে রেখে কার্ল ম্যাকহিউ, ফ্লোরেন্টিন পোগবা, ব্রেন্ডন হ্যামিলকে রাখা হয়েছিল বাগানের রক্ষণের দায়িত্বে। তবে বাগান যে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন হল তাঁর সিংহভাগ কৃতিত্বই ছিল জরুরিকালীন ভিত্তিতে সই করা মন্টিনেগ্রোর সেন্ট্রাল ব্যাক স্লাভকো দামজানোভিচের।
পোগবা, জনি কাউকো এবং তিরি তিন তারকা চোটের খাতায় মরসুমের মাঝপথে নাম লেখাতেই তড়িঘড়ি বাগান কোচ নিয়ে আসেন স্লাভকোকে। বাকিটা ইতিহাস।
আরও পড়ুন: লোবেরার ‘বন্ধু’ও এবার ISL-এ! মেসি-CR7দের লিগের হাইপ্রোফাইল কোচ এনে চমক এই ফ্র্যাঞ্চাইজির
টুর্নামেন্ট শেষে লিগের অন্যতম সেরা স্টপার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।ক্যাপ্টেন প্রীতম কোটালের সঙ্গে রক্ষণে পার্টনারশিপে বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছেন স্লাভকো। ৬ ফুট ২ ইঞ্চির সেন্টার ব্যাক বিপক্ষে আক্রমণ যেমন ছিন্নভিন্ন করেছেন, তেমন ডিপ ডিফেন্স থেকেই আক্রমণের সূচনা হয়েছে তাঁর পা থেকে। নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে সেট পিস থেকে মস্তানি দেখিয়ে গিয়েছেন।
এর আগেও অবশ্য চেন্নাইয়িন এফসিতে খেলে গিয়েছিলেন। তবে এরকম মারণ-ফর্মে আবির্ভুত হননি তিনি। কোচ ফেরান্দোর হাতে পড়ে ঝকঝকে করেছেন স্লাভকো লিগের বাকি সিজনে। বাগানের কাছ থেকে মরসুমের মাঝে অফার পান, তখন তিনি সার্ব লিগের নামি ক্লাব নোভি পাজারের হয়ে।
আরও পড়ুন: হাবাসের ISL চ্যাম্পিয়ন বিদেশিকে তুলে নিলেন লোবেরা! এক চালেই বাজিমাত ওড়িশা এফসির
কলকাতা ডার্বিতে গোল করার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ময়দানে তখনও 'অপরিচিত' স্লাভকোকে। সঙ্গেসঙ্গেই ফ্যান-ফেভারিট হয়ে যান তিনি। আর সেই গ্র্যান্ড ফাইনালে স্লাভকো নির্বিষ করে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর দুই তারকা ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী এবং রয় কৃষ্ণকে।
তবে এত কিছু করার পরেও স্লাভকোকে ছেড়ে দিচ্ছে নবরূপে সজ্জিত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। স্লাভকোকে আপাতত আগামী সিজনে খেলতে দেখা যাবে সেই বেঙ্গালুরু এফসিতেই। সাইমন গ্রেসনের বেঙ্গালুরু থেকে চলে গিয়েছেন আলান কোস্টা। ব্রুনো রামিরেজ এবং সন্দেশ ঝিংগানকেও রিলিজ করে দিয়েছে গতবারের রানার্স আপরা। তাঁদের জায়গা পূরণ করার জন্যই বেঙ্গালুরু ঘর ভাঙল বাগানের।
যে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে বাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন স্লাভকো। সেই দলেই তিনি। চলতি ট্রান্সফার সিজনের সবথেকে বড় আয়রনি বোধহয় এটাই