গত সিজনে চোট-আঘাতকে সঙ্গী করেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে-মোহনবাগান। এবারেও মরশুম শুরুর সময় থেকে চোট-আঘাত সঙ্গী হয়েছে সবুজ মেরুন শিবিরের। সেই জন্যই এবার বিখ্যাত স্প্যানিশ ফিটনেস ট্রেনার সের্গি মোরেরার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। যার তত্ত্বাবধানে দলের একাধিক তারকা চোট-আঘাত সহ রিকভারির কাজ সারবেন।
গতবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হলেই টুর্নামেন্টের এক পর্যায়ে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল মোহনবাগান। তিরি এএফসি কাপে গোকুলাম কেরালার ম্যাচে চোট পেয়ে গোটা সিজন থেকেই ছিটকে যান। ফ্লোরেন্টিন পোগবারও মরশুম শুরু হতে না হতেই খতম হয়ে যায়। স্লাভকো দামজানোভিচ, ফ্রেডরিকো গ্যালেগো, পুইতিয়াদের সই করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন কোচ ফেরান্দো।
এবারও চোটের সমস্যা রয়েছে সবুজ মেরুনে। জনি কাউকোর চোট রয়েছে। তবে কাউকোকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না। চুক্তি থাকা তারকার রিকভারির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আইএসএল-এর দ্বিতীয়ার্ধে কাউকো ফিরতে পারেন চোট সারিয়ে। ততদিন ফিনিশ তারকাকে দলের সঙ্গে আনরেজিস্টার্ড হিসাবে বয়ে বেড়ানো হবে। চুক্তিবদ্ধ কোনও বিদেশি প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম না করতে পারলে তাঁকে বসিয়ে কাউকোকে নেওয়া হবে। দীপক টাংরিরও চোট রয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন সিজনে পুরোনো সমস্যা কাটিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে বাগান শিবির। প্ৰথম থেকেই এই বিষয়ে সজাগ বাগান ম্যানেজমেন্ট।
গত বারের মত চোট-আঘাত যাতে মরশুমের মাঝপথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেই বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক বাগান শিবির। এই কারণেই সের্গি মোরেরাকে নিয়ে আসা হল। বয়স মাত্র ২৮ বছর। তবে এই বয়সেই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে মোরেরার। মেক্সিক্যান লিগের লোবসের যুব দলে পেশাদারি কেরিয়ার শুরু করেন মোরেরা। পরের সিজনেই স্প্যানিশ লিগের দিপর্তিভো আলভেজের কন্ডিশনিং কোচ হন। ২০১৮/২০ সিজনে মোরেরা সিটি ফুটবল গ্রুপের জিরোনা এফসিতে যুক্ত হন। প্ৰথমে সহকারী কোচ এবং তারপর কন্ডিশনিং কোচের ভূমিকা নিতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর কোস্টা ব্রাভা, নর্থ ভার্জিনিয়ায় পারফরম্যান্স ম্যানেজার, কন্ডিশনিং কোচ, ইউথ কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। মোহনবাগানের টেকনিক্যাল টিমে নাম লেখানোর আগে আর্মেনিয়ান লিগের উরারতুর ফিটনেস ট্রেনার ছিলেন।
তাঁর হাত ধরে বাগানে চোট-আঘাতের সমস্যা মেটে কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।