ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে খেলেছেন। জাতীয় দলের সুপারস্টার ছিলেন তিনি। তবে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন রেনেডি সিং। আর ইস্টবেঙ্গলে কোচ হিসেবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ক্রাইসিস ম্যান। ২০২০-তে আইএসএল প্ৰথমবার নাম লেখানোর সিজনেই লাল-হলুদ শিবির কোচ করে এনেছিল হাইপ্রোফাইল মানোলো দিয়াজকে।
তবে কোনওরকমে জোড়া তালি দেওয়া দল নিয়ে গোটা সিজন টিকতে পারেননি দিয়াজ। টানা হারে বিপর্যস্ত হয়ে পদত্যাগ করে স্পেনে ফিরে গিয়েছিলেন স্প্যানিশ গুরু। টানা আট ম্যাচে একটা ম্যাচেও জিততে ব্যর্থ হওয়া দলের ব্যাটন এরপরে তুলে দেওয়া হয় রেনেডিকে। শ্রী সিমেন্ট জমানায় তারপরেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সহকারী হিসাবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা রেনেডি সিংকে।
লাল-হলুদে সহকারী থেকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হয়ে ফুল ফুটিয়েছিলেন দীর্ঘ দেড় দশক জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল কাঁপানো রেনেডি। বিদেশিবিহীন একাদশ নামানোর সাহস যেমন দেখিয়েছিলেন, তেমনই মুম্বই সিটি, বেঙ্গালুরু এফসির মত হেভিওয়েট দলকে রুখে দিয়েছিল ভাঙাচোরা সেই ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এ রেনেডি কোচ হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন এগারোজন ভারতীয়দের নিয়ে প্ৰথম একাদশ সাজিয়ে।
শেষদিকে রেনেডি সিংয়ের দুর্ধর্ষ কোচিং সত্ত্বেও মরশুমের বাকি কয়েকটি ম্যাচের জন্য স্টপ গ্যাপ কোচ করা হয় মারিও রিভেরাকে। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল-এ প্ৰথম জয়ের মুখ দেখে রিভেরার কোচিংয়েই। আর আলেহান্দ্রোর প্রাক্তন সহকারী হেড কোচ হওয়ার পর মরশুম শেষেই ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে দেন রেনেডি।
ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্রাইসিস ম্যান-ই এবার বেঙ্গালুরু এফসির সহকারী কোচ। সাইমন গ্রেসনকে সাহায্য করবেন তিনি। এমনিতেই দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরু এফসির সহকারীর ভূমিকা পালন করা নওশাদ মুসা চলে গিয়েছেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডে। তাই এবার রেনেডি সুনীলদের সহকারী কোচ হচ্ছেন।
গত সিজন মন্দের ভালো কেটেছে ব্লুজদের। সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা আইএসএল-এ রানার্স হলেও ফুটবল দল পুরোপুরি খোলনলচে বদলাচ্ছেন কোচ সাইমন গ্রেসন। প্রায় সমস্ত বিদেশিকেই বাতিল করা হয়েছে। তবে ডিফেন্ডার জানকোভিচ এবং মিডফিল্ডার সুরেশ সিংয়ের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করেছে বেঙ্গালুরু। জানা যাচ্ছে, লাইসেন্সিংয়ের জন্য টোকিও যাচ্ছেন রেনেডি সিং। জাপান থেকে ফিরেই বেঙ্গালুরুর কোচিং স্টাফে যোগ দেবেন তিনি।