সুনীল ছেত্রী পরবর্তী জমানায় ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় ধরা হচ্ছে তাঁকে। সেই সাহাল আব্দুল সামাদকেই পাঁচ বছরের চুক্তিতে কলকাতায় নিয়ে এলেন বাগান কর্তারা। শুক্রবার সকালেই চুক্তিপত্রে করে দিলেন জাতীয় দলের তারকা।
সবুজ মেরুনে সই করে উচ্ছ্বসিত সাহাল প্রেস বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন, "মোহনবাগানের জার্সি পরে খেলব এটা ভেবেই গর্ব অনুভব করছি। সতীর্থদের কাছে শুনেছি, সবুজ মেরুন জার্সি চাপালে অন্যরকম আবেগ কাজ করে। কলকাতা ডার্বিকে এল ক্ল্যাসিকোর সঙ্গে তুলনা করা হয়। সময় পেলেই ফুটবল খেলো দেখি। কলকাতা ডার্বিতে স্টেডিয়ামের অবস্থা কেমন হয় সেটা ভালোই জানি। কখনও এই ডার্বি গ্যালারিতে বসে কিংবা মাঠে নেমে উপভোগ করিনি। সেই ম্যাচ সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলব, ভেবেই দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। স্টেডিয়ামে ভর্তি সমর্থক আমাদের চিয়ার করবেন। জয় ছাড়া কখনও মাঠে নামিনি। উইন, উইন, উইন মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছি। ডার্বিতেও সেই মানসিকতা বজায় থাকবে।"
আরও পড়ুন: ISL জয়ী ক্যাপ্টেনকে ছেড়েই দিল বাগান! সাহালের জন্য বিরাট চুক্তির ঘোষণা সবুজ মেরুনের
"দু-দিন আগেই বিয়ে করেছি। স্ত্রী রেজা নামি ব্যাডমিন্টন তারকা। এই চুক্তি আমার বিয়ের সেরা উপহার। মোহনবাগান এবার দেশের সেরা দল গড়ছে। দুজন বিশ্বকাপার, ইউরো কাপে খেলা ফুটবলারের সঙ্গে খেলব। জাতীয় দলের পাঁচ ছয়জন সতীর্থ রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে। তিনটে আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছি, কিন্তু কখনও দেশের সেটা ট্রফি আইএসএল ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা হয়নি। সবুজ মেরুনে সই করার এটাই অন্যতম কারণ। আমার বিশ্বাস মোহনবাগান এবারেও ভারত সেরা হবে। আমিও আইএসএল জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।"
"মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, আমাকে বলা হয়েছিল, দেশের সেরা তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ক্লাবকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা ওঁরা করছেন। এই ভাবনারই শরিক আমি। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেললেও কখনও এএফসি কাপে খেলা হয়নি। এবার তো মরশুমের শুরুতেই এএফসি কাপ খেলতে হবে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। জিততে হবে সব ম্যাচ। লক্ষ্য কঠিন হলেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য থাকবে।"
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট-এ সই করার আগে আমি জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে আশীর্বাদ করে নিজের সেরাটা দিতে বলেছেন। কেরালা থেকে আনচেরি, বিজয়ন কলকাতায় খেলে মহাতারকা হয়েছেন। আরও অনেকেই খেলেছেন। কলকাতায় রওনা হওয়ার আগে সকলের সঙ্গে দেখা করব। আশীর্বাদ ও পরামর্শ নেব। কলকাতায় ওঁরা এতদিন পরেও আইকন। ওঁদের মতই সমর্থকদের মন জয় করার চেষ্টা করব। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ চাইব। কথা দিলাম, দেশের মতই ক্লাবের জন্য নিজেকে উজার করে দেব।"