সুনীল ছেত্রীর বিতর্কিত ফ্রিকিকের প্রতিবাদে কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবলাররা মাঠ ছেড়েছিলেন। তারপরে বেঙ্গালুরু এফসিকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে এই ঘটনার পর মুখ খুললেন স্বয়ং সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের পরেই বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে বলে দিয়েছেন, "আমার ২২ বছরের কেরিয়ারে এরকম কখনও দেখিনি। এটা ঠিক হল না।"
খেলা নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচ গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। ৯৭ মিনিটে ফ্রিকিক পেতেই কেরালা ঠিকমত গুছিয়ে ওঠার আগেই ফ্রিকিক থেকে গোল করে যান সুনীল ছেত্রী। এরপরে মাঠেই কেরালা ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। বলে দেন, তাঁরা ঠিকমত পজিশনে দাঁড়ানোর আগেই ফ্রিকিক কিক নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রেফারির ফ্রিকিক শুরুর বাঁশিও তাঁরা শুনতে পাননি। তবে রেফারি সেই যুক্তিতে কর্ণপাত করেননি। তিনি গোল বজায় রাখার পক্ষেই সায় দেন। এরপরেই কেরালার সার্বিয়ান কোচ ইভান ভুকুমানোভিচ দলের ফুটবলারদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাঠ ছেড়ে ম্যাচ বয়কট কেরালার! সুনীলের বিতর্কিত গোলের পরেই ISL-এ ধুন্ধুমার-গন্ডগোল, দেখুন ভিডিও
ক্রান্তিবীরা স্টেডিয়ামে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোনও দলই গোল করতে পারেনি। সুনীল ছেত্রী ম্যাচের পরে জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি। "ফ্রিকিক নেওয়ার আগে সর্বদা রেফারিকে জিজ্ঞাসা করি। কারণ রেফারির অনুমতি ছাড়া তো ফ্রিকিক নেওয়া যায় না। এদিন অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা হল। কারণ ম্যাচ পুরো হবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছলাম, এটা ভেবে ভালো লাগছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার জন্য অপেক্ষার তর সইছে না।"
এরপরে সুনীল ছেত্রীর আরও সংযোজন, "রেফারি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাঁরা বাঁশি বাজাবে, নাকি আমার ওয়াল লাগবে? আমি সঙ্গেসঙ্গেই বলি, আমার ওয়াল কিংবা বাঁশি কোনওকিছুরই দরকার নেই। আমি সব সময়ে এই নিয়ম ফলো করি এবং যদি সুযোগ থাকে, তবে আমি তা গ্রহণ করি। না হলে আমি বলে থাকি, ঠিক আছে, ওয়াল করা হোক।"
দুই পর্বের সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু আপাতত মার্চের ৭ এবং ১২ তারিখে মুখোমুখি হবে লিগ শিল্ড উইনার্স মুম্বই সিটি এফসির।
Read the full article in ENGLISH