বেঙ্গালুরু এফসি: ১ (৯) (জাভি হার্নান্দেজ)
মুম্বই সিটি এফসি: ২ (৮) (বিপিন সিং, মেহতাব সিং)
বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি এখনও টাটকা। সর্বকালের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল উপহার দিয়েছিল কাতারের সেন্ট লুসেইল স্টেডিয়াম। রবিবার আইএসএলের সেমিফাইনাল সেই রোমহর্ষক ম্যাচের উত্তেজনা যেন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। নির্ধারিত সময়ে দুই পর্ব মিলিয়ে খেলা শেষ হয়েছিল ২-২ ফলাফলে। সেখান থেকে অতিরিক্ত সময় এবং টাইব্রেকারেই খেলার ফয়সালা হয়নি। রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষমেশ গড়াল সাডেন ডেথে। যেখানে ফারাক গড়ল মেহতাব সিংয়ের শট। গুরপ্রীত সিং সান্ধু ঝাঁপিয়ে সেই শট রুখে দিতেই বেঙ্গালুরু ঘরের মাঠে সেরার সেরা ফুটবল ম্যাচ উপহার দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল।
৯-৮ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে আইএসএল-এর খেতাবি নির্ণায়ক ম্যাচে পৌঁছে গেল সাইমন গ্রেসনের বেঙ্গালুরু। মেহতাব সিং গোল করেও শেষমেশ খলনায়কের মর্যাদা পেলেন ক্রান্তিবীরা স্টেডিয়ামে।
সুনীল ছেত্রীর গোলে মুম্বইয়ের মাটিতে মুম্বইয়ে ফার্স্ট লেগে হারিয়ে খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। নিজেদের দূর্গে জাভি হার্নান্দেজ প্রথমার্ধে গোল করে যাওয়ার পরে মুম্বইকে ফাইনালে পৌঁছনোর জন্য বাকি ম্যাচে তিনটে গোল করতে হত নির্ধারিত সময়ে।
বিপিন সিং ৩০ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর মেহতাব সিং ২-১ করে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের হয়ে। ফাইনালের জন্য আরও একটা গোল করতে হত দেশ ব্যাকিংহ্যামের দলকে। তবে নির্ধারিত সময়ে দুই দলই আর গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আরও তিরিশ মিনিট খেলার পরেও দুই দলকে পৃথক করা যায়নি।
এরপরে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকার। যেখানে দুই দলকে মোট ১৮ টা পেনাল্টি শট নিতে হল মীমাংসার জন্য। দুই দলের হয়ে পরপর গোল করে যান গ্রেগ স্টিওয়ার্ট, জাভি, জর্জে পেরেরা দিয়াজ, রয় কৃষ্ণ, ছাংতে, আলান কোস্টা, জহু, সুনীল ছেত্রী, রাহুল ভেকে, পেরেজ, বিক্রম, প্রবীর দাস, মুর্তাদা ফল, রোহিত কুমার, বিনীত রাই, রোশন।
শেষমেশ মেহতাব সিংয়ের শটই ম্যাচের ফয়সালা গড়ে দেয়। গুরপ্রীত ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেওয়ার পর সন্দেশ জিংঘানের শট ফাইনালে তুলে দেয় বেঙ্গালুরুকে।