শুক্রবার বেনজির বিতর্ক দেখা গেল বেঙ্গালুরুর ক্রান্তিবীরা স্টেডিয়ামে। বেঙ্গালুরু এফসি ১-০ গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল। তবে ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে গেল ফ্রিকিক বিতর্ক। সুনীল ছেত্রীর বিতর্কিত ফ্রিকিকের পর মাঠ ছেড়ে উঠে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স।
কেরালা শিবিরের দাবি সুনীল ছেত্রীর বাঁকানো ফ্রিকিক যখন জালে জড়িয়ে যাচ্ছে এক্সট্রা টাইমে সেই সময় তাঁদের গোলকিপার প্রস্তুতই ছিলেন না। অপ্রস্তুত গোলকিপার সেই সময়ে পজিশনেই ছিলেন না। কেরালা শিবিরের প্রতিবাদের পরেও রেফারি গোলের পক্ষেই সওয়াল করেন। তারপরেই মাঠ ছাড়েন ব্লাস্টার্স ফুটবলাররা। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ২০ মিনিট পরেও ফিরে আসেনি কেরালা। তারপরেই বেঙ্গালুরুকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। দুই পর্বের সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু আপাতত মার্চের ৭ এবং ১২ তারিখে মুখোমুখি হবে লিগ শিল্ড উইনার্স মুম্বই সিটি এফসির।
ম্যাচের পরে বেঙ্গালুরু কোচ সাইমন গ্রেসন স্টার স্পোর্টসে বলছিলেন, কেরালার কোচকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যাতে মাঠ ছেড়ে না উঠে যায় ব্লাস্টার্স ফুটবলাররা। "এটা যদি আমার দলের সঙ্গেও ঘটত, আমরা মাঠ ছাড়তাম না। দলের ফুটবলারদের বলতাম গোল করে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করতে।" ফ্রিকিকের সময় কী ঘটেছিল, তা বিস্তারিত তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, "আমরা ফ্রিকিক পাওয়ার পর সুনীল রেফারিকে জিজ্ঞাসা করে তাড়াতাড়ি ও কিক নিতে পারবে কিনা, রেফারি সম্মতি দিতেই দ্রুত ও ফ্রিকিক নেয়।"
মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে কেরালা ব্লাস্টার্স গোটা ম্যাচেই পজেশন বজায় রেখে খেলেছিল। তবে গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে পেরিয়ে গোল করতে পারেনি ইভান ভুকুমানোভিচের ফুটবলাররা।বেঙ্গালুরু এফসি রয় কৃষ্ণ এবং শিবশক্তি নারায়ণের কাউন্টার এটাকিং ফুটবলে ভরসা করছিল।
প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরু বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে হাফডজন শট নেয়। এরমধ্যে তিনটে গোলের প্রচেষ্টা করেন রয় কৃষ্ণ। প্ৰথম ২৪ মিনিটে ফিজির তারকা ফুটবলার মাত্র একটি গোলমুখী শট নিতে সমর্থ হন। গিল শট বাঁচাতে গিয়ে হার্নান্দেজের পায়ে বল ঠেলে দেন। যদিও শেষমেশ ক্লিয়ার করে দেয় কেরালা। কর্ণার থেকে হেডে টার্গেটে শট রাখতে পারেননি রয় কৃষ্ণ।
Read the full article in ENGLISH