সের্জিও লোবেরাকে নিয়ে ময়দানি ফুটবল মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। কনস্টানটাইন জমানা পতনের পর সের্জিও লোবেরা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। সিচুয়ান জিউনিউ থেকে আইএসএল-এ লোবেরার প্রত্যাবর্তন পাকা হয়েও হয়নি। শেষ মুহূর্তে ইমামি কর্তাদের বিপদে ফেলে লোবেরা চলে যান ওড়িশা এফসিতে।
ইমামি কর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলে দিয়েছিলেন, ধোঁকা দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। উত্তাল সেই সময়ে তড়িঘড়ি ইমামি ইস্টবেঙ্গল কার্লেস কুয়াদ্রাতকে কোচ করে এনে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকমাস। এই প্ৰথমবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন সের্জিও লোবেরা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আপাতত চক্ষুশূল লোবেরা। কেন ইস্টবেঙ্গলকে বাতিল করে ওড়িশাকে বেছে নিলেন তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছেন তিনি।
বলে দিয়েছেন, "অন্যান্য ক্লাবের তরফেও আমার কাছে অফার ছিল। ভারত ছাড়াও অন্য ক্লাবও আমাকে পেতে ইচ্ছুক ছিল। তবে রোহন (শর্মা), রাজ (আটওয়াল), অভীকদের (চট্টোপাধ্যায়) সেই সাক্ষাতের পরে বুঝতে পারি এঁদের প্রোজেক্ট বেশ ভালো। দারুণ সমস্ত ব্যক্তিরা গোটা বিষয় পরিচালনার দায়িত্বে। মনে হয়েছিল, এই ক্লাবে কোচিং করানো আমার জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।"
"আমি ভারতীয় ফুটবলে সমস্ত কিছু অর্জন করার পরেও কেন প্রত্যাবর্তন করলাম, তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। তবে আমার কাছে সকলের সঙ্গে কানেকশন, নিজের কাজের প্রতি আনন্দ এসব ম্যাটার করে। ওড়িশার সঙ্গে আলোচনার পরেই বুঝতে পারি এমন ক্লাবেই কোচিং করাতে চাই।"
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে এবার হয়ত অস্ট্রেলিয়ান প্রাচীর! কামিন্সের পুরোনো ক্লাবের প্রাক্তনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু
সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চাইনিজ সুপার লিগে কোচিং করানোর সময়েও ভারতীয় ফুটবলে নজর রাখতেন। সিটি ফুটবল গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। সেই গ্রুপের কোচ হিসাবেই মুম্বইয়ে কোচিংয়ের পর পাড়ি জমিয়েছিলেন চাইনিজ সুপার লিগের সিটি মালিকানাধীন ক্লাবে। সেই সেই চুক্তি ছিন্ন করেই ওড়িশার দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তাতে আক্ষেপ নেই আইএসএল-এর সফলতম কোচের।
সাক্ষাৎকারে অকপট হয়ে তিনি জানাচ্ছেন, "চীনের ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগেই আমাকে ওখানকার পরিবেশ নিয়ে সতর্ক করেছিল সিটি গ্রুপ। তবে ওখানে কোচিং করতে পারাটা ভালোই অভিজ্ঞতা। সিটি গ্রুপের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবর ভালো। আপাতত আমি নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজছিলাম। তারপরেই ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। সিটি গ্রুপের কাছে আমি বরাবর কৃতজ্ঞ।"
ওড়িশা এবার শক্তিশালী স্কোয়াড গড়ছে। আর ওড়িশাকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য নিজের পুরোনো ছাত্র আহমেদ জাহু, লেনি রদ্রিগেজ, মুর্তাদা ফল, আমে রানওয়াদের ডেকে নিয়েছেন কলিঙ্গ রাজ্যে। লোবেরার যুক্তি, "সমস্ত প্লেয়ার একেবারে নতুন হলে মুশকিল। ওঁরা আগে আমার কোচিংয়ে খেলায় আমার স্টাইল রপ্ত করতে ওঁদের অসুবিধা হবে না।"