হাবাসের ইস্টবেঙ্গলে আসা আর হল না। সের্জিও লোবেরাকেই কোচ করে আনতে চলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। গামবাউ সম্ভাব্য কোচের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের তরফে যাঁদের কোচ চাওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে মানোলো মার্কুয়েজ কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদ এফসি ছেড়ে গোয়ায় চলে গিয়েছেন কার্লোস পেনার জায়গায়।
গত দেড় বছর এটিকে মোহনবাগানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হাবাস সক্রিয় কোচিং থেকে দূরে ছিলেন। এই বিষয়টিই তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। অন্যদিকে, সের্জিও লোবেরার মত হাইপ্রোফাইল কোচকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল আর্থিক সমস্যা।
বর্তমানে চিনা সুপার লিগে সিচুয়ান জিউনিউয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তিনি। বার্সেলোনার প্রাক্তন সহকারী কোচের আর্থিক বিষয় নিয়েই আপাতত আলোচনা চলছে ইমামির। সূত্রের খবর লোবেরার নাম কার্যত চূড়ান্ত। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি মেনে স্প্যানিশ কোচের নাম সরকারিভাবে জানিয়ে দেবে ইস্টবেঙ্গল। পয়লা বৈশাখের আগেই ইস্টবেঙ্গলকে নতুন কোচ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমামি কর্তারা। সেই কথা মেনেই লাল-হলুদ তাঁবুতে পা রাখবেন সের্জিও লোবেরা।
স্টিফেন কনস্টানটাইনকে ছেঁটে ফেলার পর ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী প্ৰথমেই ঠিক করে ফেলেন এমব কাউকে দায়িত্বেম দেওয়া হবে যাঁর আইএসএল-স কোচিং করানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই হিসাবেই শর্টলিস্ট করা হয় একের পর এক নামি কোচকে। লোবেরা ভারতে কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন এফসি গোয়ায়। টানা তিন বছর গউর-দের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তারপর মুম্বই সিটি এফসিতে কোচ হন ২০২০/২১ সিজনে। দুই দলের হয়েই আইএসএল এবং লিগ উইনার্স শিল্ড জিতেছেন তিনি।
শুধু ভারতেই নয় লোবেরার কোচিং প্রোফাইল বাঁধিয়ে রাখার মত। বার্সেলোনা যুব দল, সি দল তো বটেই এমনকি ২০১২-য় কাতালান ক্লাবে মূল দলের সহকারী কোচ ছিলেন তিতে ভিলানোভার। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা, বুস্কেটস, পিকেদের সোনার দলের সঙ্গে জুড়ে ছিলেন তিনিও।
এছাড়াও লা লিগায় লা পামাস, মরোক্কান লিগের মোঘরেব তেতওয়ান দলের প্রশিক্ষক ছিলেন ৪৬ বছরের স্প্যানিশ।
কোচ হিসেবে ভারতে ভালো মানের বিদেশি নিয়ে এসেছেন। হাবাস যেমন রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, তিরিদের মত তারকাদের এনেছিলেন, লোবেরা আবার আহমেদ জহু, হুগো বুমোসদের মত মরোক্কান সুপারস্টারদের এনেছেন। তিনি ইস্টবেঙ্গলে পা রাখার পর দুই মোহনবাগান, মুম্বইয়ের দুই তারকাই নাম লেখাতে পারেন ইস্টবেঙ্গলে। এমন সম্ভবনা জোরালো হল মঙ্গলবারই।