সরকারিভাবে ট্রান্সফার সিজন খতম হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে। আর ট্রান্সফার সিজন শেষ হওয়ার আগেই একদম শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল চমক দিল প্রতিশ্রুতিমান অজয় ছেত্রীকে এক বছরের লোন চুক্তিতে সই করিয়ে।
বেঙ্গালুরুর যুব দল থেকে উত্থান অজয়ের। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে যেমন খেলতে পারেন। তেমন ডিফেন্সিভ ব্লকারের কাজ-ও করতে পারেন। যাইহোক, বেঙ্গালুরুর একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠার পর অজয় বেঙ্গালুরুর বি দলের হয়ে আইলিগ সেকেন্ড ডিভিশন, ব্যাঙ্গালোর সুপার ডিভিশনেও খেলেছেন। বেঙ্গালুরুর আইএসএল জয়ী স্কোয়াডে ছিলেন ২০১৮-১৯ সিজনে।
এরপরে সিনিয়র দলের সেট আপেও অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছিল অজয়কে। বেঙ্গালুরুর এফসির কোচ থাকার সময়েই কোচ কুয়াদ্রাতের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন অজয়। নিজের পুরোনো সেই শিষ্যকেই এবার লাল-হলুদে ডেকে নিলেন স্প্যানিশ বস।
অবশ্য ইস্টবেঙ্গলে আগেও খেলে গিয়েছেন অজয়। রবি ফাউলার জমানায় দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোয় ইস্টবেঙ্গল বেঙ্গালুরু থেকে লোনে সই করিয়েছিল মনিপুরি তারকাকে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সেবার পাঁচ ম্যাচে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন অজয়। আইএসএল-এ লোনে হায়দরাবাদ এফসির হয়েও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
পুরোনো ক্লাবে সই করে অজয় বলে দিয়েছেন, "ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। ক্লাব, ইমামি গ্রুপ এবং কোচ কুয়াদ্রাত আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আইএসএল-এ অভিষেক যাঁর কোচিংয়ে হয়েছিল, সেই কার্লেস স্যারের অধীনে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।"
আরও পড়ুন: ন্যায়-বিচার নেই, ডাকাতির শিকার! বাগানের কাছে হারতেই ডুরান্ড কমিটিকে বেলাগাম হুমকি গোয়ার
"অতিমারির সময়ে ইস্টবেঙ্গলে খেললেও সমর্থকদের সামনে খেলা হয়নি। এবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমর্থকদের খুশি করার প্রচেষ্টা করব।"
গত সিজনে লোনে কাটিয়েছিলেন রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাবে। সেই পাঞ্জাব আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবার আইএসএল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আর পাঞ্জাবকে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অজয়। ১৯ ম্যাচ খেলে একটি গোল যেমন করেছেন, তেমন তিনটি গোলে সহায়তাও ছিল তাঁর।
সবমিলিয়ে প্রতিশ্রুতিমান প্রতিভা তারকা খ্যাতি পাবেন কলকাতায়? সময়ই উত্তর দেবে।