একদিন আগেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো কে সই করিয়েছিল ওড়িশা এফসি। এবার ওড়িশা সই করিয়ে ফেলল স্প্যানিশ সেন্টার ফরোয়ার্ড পেদ্রো মার্টিনকে।
তারকার প্রোফাইল বেশ চোখ ধাঁধানো। স্পেনের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৩৪০টি ম্যাচ। লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশনে ১২৬ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। এমনকি কোপা ডেল রে এবং ইউরোপা লিগের মত টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছেন অতীতে। এমন প্রোফাইলের তারকাকে সই করিয়ে রীতিমত চমক দিল ওড়িশা এফসি।
স্পেনের আন্দালুশিয়া প্রদেশের মালাগায় জন্ম। কেরিয়ার শুরু নিজের শহরের মালাগা সিএফ-এর হয়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেন তারকা।
ইউথ একাডেমিতে যুব কেরিয়ার সম্পন্ন করার পরে পেদ্রো যোগ দেন চতুর্থ ডিভিশনে ক্লাবের সি টিমে। সেই জার্সিতেই ক্লাবের হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেক তাঁর। অভিষেক মরশুমেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স করার পরে আতলেতিকো মাদ্রিদের প্রধান টিমের কোচ গ্রেগরিও মানজানো তাঁকে ডেকে নেন ২০১১/১২ মরশুমে প্রি সিজনে। সেই মরশুমেই ৮ ডিসেম্বর কোপা ডেল রে-তে আলবাসেটে বালোমপির বিরুদ্ধে আতলেতিকো মাদ্রিদের সিনিয়র দলের হয়ে পিজ্জির পরিবর্তে নামেন। সেই ম্যাচে যদিও হেরে যায় আতলেতিকো।
পরের বছর ২১ মার্চ আতলেতিকো বি দলের হয়ে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে বাঁচান। এরপরে মূল দলের কোচ দিয়েগো সিমিওনে তাঁকে বারবার ব্যবহার করেন গোটা মরশুম জুড়ে। রিজার্ভ দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে গোল করেন তারকা।
আরও পড়ুন: ISL মাতাতে ভারতে ওয়েঙ্গারের ছাত্র! সুপার লিগে এবার চমকের পর চমক
লা লিগায় পেদ্রোর অভিষেক ঘটে ২০১২-র এপ্রিলে। রিয়েল বেটিস ম্যাচে তিয়াগোর পরিবর্তে প্ৰথমবার নামেন তিনি। সেই ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ২-২ ড্র করে রিয়েল বেটিসের বিরুদ্ধে। ৯ মার্চ ইউরোপা লিগের ফাইনালে আতলেতিকো বিলবাওকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সিমিওনের মাদ্রিদ।
এরপরে কেরিয়ার জুড়ে খেলেছেন টেনেরিফে, মিরানডেস, সেল্টা ভিগো, মুরসিয়া, লেইডা এসপর্তু, জিমন্যাস্টিক, আতলেতিকো সানলিকুইয়েনোর হয়ে খেলেছেন।
এবার আসছেন আইএসএলে। বাকি ডিফেন্ডারদের ঘুম ওড়াতে।