চলতি বছরেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ক্লাবে সই করেছিলেন। ভাবা হয়েছিল আইএসএল স্কোয়াডে হয়ত ব্যাক আপ স্কোয়াডের অংশ হিসাবে কোচ ফেরান্দো সুযোগ দেবেন নংদম্বা নাওরেমকে। ২৩ বছরের উইঙ্গার জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোয় সই করেন এটিকে মোহনবাগানে। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংদের ব্যাক আপ হিসাবে ভাবা হয়েছিল নাওরেমকে।
তবে এবার দলবদলে দেশের সেরা স্কোয়াড গড়েছে বাগান। আর্মান্দো সাদিকু, জেসন কামিন্সের মত বিশ্বমানের স্ট্রাইকার এবার খেলছেন সবুজ মেরুন জার্সিতে। সেই সঙ্গে আপফ্রন্টে থাকছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। লিস্টন, মনবীরদের প্ৰথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত নয় এই হেভিওয়েট স্কোয়াডে।
গেম টাইম পাবেন না বুঝতে পেরেই এবার নংদম্বা নাওরেম চলে যাচ্ছেন জামশেদপুর এফসিতে। দু-বছরের চুক্তিতে টাটার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সই করছেন তিনি। জামশেদপুর স্কোয়াডের সঙ্গে ট্রেনিংও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে যুব বিশ্বকাপে খেলা প্রতিভা দেশের অন্যতম উঠতি তারকা। মিনার্ভা একাডেমি থেকে উঠে আসা নাওরেম সবুজ মেরুন জার্সিতে অবশ্য নতুন ছিলেন না। এর আগে দুটো স্পেলে খেলেছেন মেরিনার্স শিবিরে। ২০১৯-এ কিবু ভিকুনার আইলিগ জয়ী স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। মেরিনার্সদের হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলেন সেবার তিনি। জোড়া গোলও করেন। হাবাস মার্জারের পর এটিকে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেন। অন্যদিকে, আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কিবু ভিকুনা কেরালা ব্লাস্টার্সের হেড কোচ হন। দক্ষিণী ক্লাবটির কোচ হয়ে ভিকুনা মোহনবাগান থেকে কেরালায় নিয়ে গিয়েছিলেন নাওরেমকে।
আরও পড়ুন: হামেস রদ্রিগেজ, ফ্যালকাওয়ের দেশে ভারতীয় স্ট্রাইকার! বিদেশে ফুটবলে গর্বের কীর্তি তরুণ ইন্ডিয়ানের
এক সিজন পরেই ২০২০-এ হাবাসের এটিকে মোহনবাগানে দ্বিতীয়বার সই করেন মনিপুরী তারকা। ২০২১-এ এফসি গোয়ার হয়ে কার্যত মাঠে নামার সুযোগ পাননি।
এবার মোহনবাগানে তৃতীয়বার সই করে কলকাতা লিগে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন। সুহেল ভাট, হামতেদের সঙ্গে ধারাবাহিক নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন। তবে আইএসএল-এ গেম টাইম পাওয়ার জন্যই নাওরেম পাড়ি দিচ্ছেন জামশেদপুর এফসিতে।