ইতালির সবচেয়ে প্রাচীনতম পেশাদার ফুটবল ক্লাব জেনোয়া ক্রিকেট অ্যান্ড ফুটবল ক্লাব। জেনোয়া সিএফসি বা জেনোয়া নামেও যা বিশ্বে পরিচিত। ক্লাবের মালিক এনরিকো প্রেজিওসি, ইতালির বৃহত্তম খেলনা প্রস্তুতকারক তিনি। এবার জেনোয়াকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ফার্ম অ্যসিয়েটা এসপিকে তারা এই কোম্পানি বিক্রি করার দায়ভার দিয়েছে।
ইতালির এক নম্বর টুর্নামেন্ট সেরি আ-তে খেলে জেনোয়। ২০১৮-১৯ মরসুমে লিগ তালিকায় ১৭ নম্বরে শেষ করেছে তারা। জেনোয়ার ঠিক নিচেই রয়েছে আর তিনটি মাত্র ক্লাব- এম্পোলি, ফ্রোসিনওয়ান এবং চিয়েভো। ১৮৯৩ সালে ভূমিষ্ঠ হওয়া এই ক্লাবের ওপর অবনমনের খাঁড়া ঝুলছে। বেশ অনেক বছর ধরেই জেনোয়ার পারফরম্যান্স তলানিতে এসে ঠেকেছে। সমর্থকদের মধ্যেও এই নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়। ২০০৩ সালে প্রেজিওসি এই ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তখন জেনোয়া সেরি বি খেলত। চার বছরের মধ্যেই ক্লাব সেরি আ-তে চলে আসে। প্রথমসারির ক্লাব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হয়। তিনি মোট ১৪ জন কোচকে এনে ভাগ্যপরখ করেন। কিন্ত ঘটনাচক্রে ভাগ্য বদলায়নি। দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাবটিকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
আরও পড়ুন: গৌরবের ইতিহাস নিয়ে সোনার গোলার্ধে, বিখ্য়াত দুই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা মোহনবাগানের
এহেন জেনোয়ার সঙ্গেই জড়িয়েছে ভারতীয় ফুটবলের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানেরও নাম। কিছুদিন আগেই গঙ্গাপারের এই ক্লাব গ্রুপ অফ পায়োনিয়ার্সে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। বিশ্বের ঐতিহ্যমণ্ডিত সমস্ত ফুটবল ক্লাবের তরফে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল বছর ছয়েক আগে। উদ্যোক্তা ছিল ফুটবল দুনিয়ার প্রাচীনতম ক্লাব শেফিল্ড এফসি। সেই গ্রুপেই রয়েছে কুইন্স পার্ক এফসি, রয়্যাল অ্যান্টওয়ার্প, হংকং এফসি, ইয়োকোহমা এফসি এবং জেনোয়ার মতো সেঞ্চুরি পার করেল যাওয়া’মোট ২২টি ক্লাব। মোহনবাগান এই পরিবারের ২৩তম সদস্য হয়।
সূত্রের খবর, শেফিল্ড এফসি-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই গাটছড়া বাঁধতে চলেছে মোহনবাগান। কথাবার্তা প্রায় পাকা। শেফিল্ডের সঙ্গে গ্রুপ অফ পায়োনিয়ার্সের বর্তমানে সবথেকে বড় পেশাদার ক্লাব জেনোয়া। ইতালিয়ান এই ক্লাবটিও মোহনবাগানের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা চালাতে উদ্যোগী বলেই জানা যায়। শোনা যাচ্ছিল শেফিল্ড কিংবা জেনোয়ার নিজস্ব মাঠে বাগান প্রাক-মরসুম অনুশীলন সারতে পারে। টেকনিকাল মতামতের আদানপ্রদানও হতে পারে। কিন্তু জেনোয়ার বিক্রি হয়ে গেলে পরিস্থিতি কী হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।