/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/ie-african-footballer-attacked-kerala.png)
হাসান জুনিয়র তার অভিযোগে বলেন, ঘটনাটি তাকে মানসিকভাবে আহত করেছে। (ভিডিও থেকে স্ক্রিনগ্র্যাব)
Kerala football: বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল কেরালা। আইভরি কোস্টের এক ফুটবলার অভিযোগ করলেন গণপ্রহারের শিকার হয়েছেন তিনি। বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণ তো বটেই তাঁকে ধোলাই করা হয়েছে। কেরালার মল্লপুরম জেলার ফুটবল মাঠে এমন ঘটনা ঘটেছে।
দিয়ারা সৌবা হাসান নামের সেই আফ্রিকার ফুটবলার পুলিশের কাছে অভিযোগ-নামায় জানিয়েছেন, তাঁকে সমর্থকদের একাংশ মাঠে ইঁট ছুঁড়ে আহত করেছে এবং বর্ণবিদ্বেষ মূলক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি।
কেরালার সেভেন-আ সাইড টুর্নামেন্টে হাসানকে 'ভাড়া' করেছিল জওহর মাভুর। তবে ফাইভ-আ সাইড এক ম্যাচে তিনি নিগ্রহের শিকার হন ১০ মার্চ আরিকোডের কাছে।
মল্লপুরম জেলা প্রধান পুলিশ প্রধানকে হাসান নিজের অভিযোগে লিখেছেন, "আমাদের দল এক গোলে এগিয়ে ছিল। সেই সময় আমাদের দল একটা কর্নার পায়। কর্নার নেওয়ার জন্য ফ্ল্যাগের কাছে যাই। সেই সময়েই স্থানীয় জনতার একাংশ আমাকে বাঁদর বলে অভিহিত করতে থাকে। দর্শকদের মধ্যে একজনের ছোঁড়া ইঁট আছড়ে পড়ে আমার মাথায়। আমি ফিরতেই আমাকে লক্ষ্য করে আরও দুটো ইঁট ছোঁড়া হয়। ওঁরা আমার দিকে চিৎকার করছিল। যাঁরা আমাকে ইঁট ছুঁড়ছিল তাঁরা ক্রমাগত আমাকে বলে চলেছিল, 'আফ্রিকান বাঁদর, কালো বিড়াল তোমাকে f**k'।
আরও পড়ুন: বোর্ডের জোরাজুরিতে খেলতে গিয়েই বিপত্তি! জয় শাহদের জন্যই মাথায় বাজ পড়ল KKR-এর
জীবন বাঁচাতে আমি দৌঁড়ে পালাতে থাকি। তখনও প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা আমাকে ইঁট ছুঁড়ে চলেছিল। ভয়ঙ্করভাবে আমাকে মারছিল। আমার দলের সমর্থকরা মধ্যস্থতা করলে আমি রক্ষা পাই।"
হাসান জুনিয়র তাঁর অভিযোগ পত্রে আরও বলেছেন, এই ঘটনা তাঁকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। "জাতিগতভাবে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। আমি তীব্রভাবে অপমানিত। গায়ের রংয়ের জন্য আমাকে আক্রমণের শিকার হতে হল।" বুধবার এই অভিযোগ ফরোয়ার্ড করা হয় আরাকোডে পুলিশের কাছে। তারপরে হাসানের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
কেরালার মল্লপুরম জেলা সহ উত্তরের ফুটবলে আফ্রিকান ফুটবলাররা সেভেন-আ-সাইড টুর্নামেন্টের বড় আকর্ষণ। অস্থায়ী গ্যালারি এবং বিশাল দর্শকের সামনে এই ম্যাচ আয়োজন করা হয় নভেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে। কেরালায় খেলতে আসা আফ্রিকান ফুটবলের জীবন কাহিনী ফুটে উঠেছিল ২০১৮-য় মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালি ছবি 'সুদানি ফ্রম নাইজেরিয়া'য়।