Advertisment

শোয়েবকে বাঁচিয়েছিলেন ডালমিয়া, অতীতের গল্প এবার প্রকাশ্যে

সেই সময়ে পাক দলে এতটাই অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল যে জিয়া স্বয়ং প্রধান নির্বাচক ওয়াসিম বারিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন আক্রম, ইউনিস, আনোয়ারদের মত তারকাদের বাদ দিয়ে যেন দল গড়া হয়। সেই বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবোয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সুপার সিক্সের বাধা পেরোতেই পারেনি পাকিস্তান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেরিয়ারের শুরুতেই খতম হয়ে যেতে পারতো শোয়েব আখতারের ক্রিকেট কেরিয়ার। সেই সময় জগমোহন ডালমিয়া ত্রাতা হয়ে না দাঁড়ালে এতদূর এগোতেই পারতেন না স্পিডস্টার। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়ে শোরগোল ফেলে দিলেন খোদ প্রাক্তন পিসিবি কর্তা তৌকির জিয়া।

Advertisment

১৯৯৯ সালেই শোয়েবের বোলিং একশন সন্দেহ প্রকাশ করে অধিকাংশ আইসিসির সদস্য দেশ। সরাসরি শোয়েবের বোলিং একশনকে অবৈধ বলে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই শোয়েবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেই সময় আইসিসির সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া।

পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রাক্তন এই কর্তা জানান, "আইসিসির প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডালমিয়ার মতামত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উনি শোয়েব আখতারের বোলিং একশনের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাহায্য করেছিলেন। আইসিসির মেম্বাররা শোয়েব আখতারের বোলিং একশনকে অবৈধ বলে দাগিয়ে দিলেও উনি আমাদের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।"

এর পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, "আমি এবং ডালমিয়া শোয়েবের পক্ষে বলায় আইসিসি শেষ পর্যন্ত মানতে বাধ্য হয় যে শোয়েবের বোলিং একশন পুরোটাই জন্মগত ত্রুটি। চিকিৎসাগত কারণেই শোয়েবের হাইপার এলবো এক্সটেনশন। এরপরেই শোয়েবকে খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।"

পিটিআইকে জিয়া নিজের সাক্ষাৎকারে ২০০৩ বিশ্বকাপের কথাও জানিয়েছেন। সেই সময়ে পাক দলে এতটাই অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল যে জিয়া স্বয়ং প্রধান নির্বাচক ওয়াসিম বারিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, সাঈদ আনোয়ারদের মত তারকাদের বাদ দিয়ে যেন দল গড়া হয়। সেই বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবোয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সুপার সিক্সের বাধা পেরোতেই পারেনি পাকিস্তান।

জিয়া বলছিলেন, "বিশ্বকাপের পরে ক্রিকেটারদের নিয়ে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। বিশ্বকাপের জন্য এটাই ছিল সেরা দল। সেই সময়ে কানাঘুষোয় শুনেছিলাম অনেক ক্রিকেটারই আন্ডার পারফর্ম করেছিল স্কোয়াডে বিভাজনের জন্য।"

সেই বিশ্বকাপে ওয়াকার ইউনিসকে অধিনায়ক রেখে বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে টুর্নামেন্টে অনেক সিনিয়রদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাপোর্ট পাননি। জিয়া বলছিলেন, "পিসিবির অনেক মেম্বার ওয়াকারকে ক্যাপ্টেন করার বিরোধিতা করেছিল। এমনকি ওঁর বিরুদ্ধে গড়াপেটা তদন্ত চলার জন্য আইসিসিও বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।"

সেই বিশ্বকাপের পরেই ওয়াসিম বারির সঙ্গে আলোচনা করে ওয়াকার, আক্রম, আনোয়ারদের বাদ দিয়ে রশিদ লতিফকে নেতৃত্বে এনেছিলেন জিয়া।

ICC Shoaib Akhtar
Advertisment