শেষ মুহূর্তের গোলে হেরেই বিশ্বকাপের নক-আউট থেকে বিদায় নিয়েছে জাপান। কিন্তু আকিরা নিশিনোর ব্লু সামুরাইদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে ফুটবল। সোমবার কী অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন হারাগুচি-ইনুইরা। বিশ্বের পাঁচ নম্বর বেলজিয়ামের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে ফিফা-র ৪৪ নম্বর জাপান।
প্রশংসা শুধু জাপানি খেলোয়াড়দেরই প্রাপ্য নয়, সেদেশের ফ্যানেরাও কৃতিত্বের দাবিদার। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও রোস্তভ এরিনার গ্যালারি পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেন তাঁরা। স্পোর্টসম্যানশিপের সেরা বিজ্ঞাপনটা দিয়ে গেলেন ফ্যানেরা।সোশ্যাল মিডিয়া এখন জাপান বন্দনায় মুখরিত।
FIFA World Cup 2018 : বিদায়, তবুও গ্যালারি পরিষ্কার করেই গেলেন জাপানের ফ্যানেরা
আরও পড়ুন: FIFA Football World Cup, 2018, Belgium Vs Japan: সেলাম জাপান, ধন্যবাদ বেলজিয়াম
প্রিয় দল বা দেশের হারে হৃদয়ভঙ্গ আর হতাশাই স্বাভাবিক। যদিও তার বহিঃপ্রকাশে গ্যালারি বা স্ট্যান্ড ভাঙচুরের সাক্ষীও রয়েছে ফুটবল ইতিহাস। কিন্তু বেলজিয়ামের কাছে হারের পরেও হাসি মুখেই জাপানি ফ্যানেরা তাঁদের স্ট্যান্ডের জঞ্জাল ও আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেন। এটাই জাপানিদের ট্র্যাডিশন। শুধু এই বিশ্বকাপই নয়, অতীতেও জাপানিদের এই সহবত দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে।
বিশ্বের অন্যতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশগুলির মধ্যে একটা জাপান। সেদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন না যে, সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য টাকা পেয়ে থাকেন। সুতরাং কাজটা ওদেরই। ঘর-বাড়ি থেকে রাস্তা-ঘাট সবটাকেই নিজের মনে করে তাঁরা পরিচর্যা করেন। জাপানিদের স্ট্যান্ড পরিষ্কার করা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে সেনেগালও। তাঁরাও জাপানের পথ অনুসরণ করেই মাঠ পরিষ্কার করে দিয়ে গেছেন। এমনকি ম্যাচের পর জাপানের ফুটবলাররা নিজেদের ড্রেসিংরুমটাও একেবারে পরিস্কার করেই স্টেডিয়াম ছেড়েছেন। সেখানে রাশিয়ান ভাষায় লিখে গিয়েছেন ‘স্প্যাসিবো’, বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় ধন্যবাদ।