Advertisment

স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ দিয়েই অলিম্পিকের পদক!

আগামী বছর টোকিওতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের শো-পিস ইভেন্ট। প্রতিবারই 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'-এ কিছু না কিছু চমক থাকে। তবে এবার সূর্যোদয়ের দেশ সবাইকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Japan's Making Olympic Medals From Recycled E-Waste & We Couldn't Be Happier

স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ দিয়েই অলিম্পিকের পদক!

আগামী বছর টোকিওতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের শো-পিস ইভেন্ট। প্রতিবারই 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'-এ কিছু না কিছু চমক থাকে। তবে এবার সূর্যোদয়ের দেশ সবাইকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। পদক তৈরির অভিনবত্বে এখনই খবরের শিরোনামে জাপান। পুরনো স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ রিসাইকেল করেই তাঁরা তৈরি করছে পদক।

Advertisment

২০১৭ থেকেই জাপান এসব ইলেকট্রেনিক ওয়েস্ট সংগ্রহ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ ছাড়াও রয়েছে পুরনো ডিজিট্যাল ক্যামেরা ও বিভিন্ন হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস। জাপানের টার্গেট রয়েছে ৩০.৩ কেজি সোনা, ৪,১০০ কেজি রুপো ও ২,৭০০ কেজি ব্রোঞ্জ সংগ্রহ করার। কমিটি ইতিমধ্যেই কাঙ্খিত ব্রোঞ্জ সংগ্রহ করে ফেলেছে গত জুনে। ৯০ শতাংশ সোনা ও ৮৫ শতাংশ রুপোও চলে এসেছে তাদের হাতে। সোনা ও রুপো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় তারা পৌঁছাতে পারেনি এখনও। কিন্তু তারা বিশ্বাসী যে, তাদের কাছে যথেষ্ট উপাদান রয়েছে সেই লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করার।

আরও পড়ুন: অলিম্পিকের স্বীকৃতি পেল কিকবক্সিং, খেলার ভবিষ্য়ত নিয়ে কী ভাবছে সর্বভারতীয় ফেডারেশন

জাপানের জনসাধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিও এই কাজে সাহায্য করছে। সেদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অ্যাথলিটদেরও সমর্থন রয়েছে এই প্রকল্পে। গত নভেম্বর থেকে ৪৭,৪৮৮ টন ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। আয়োজকরা বিবৃতি মারফত এই ঘোষণা করেছে। ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও এই ভাবনা রূপায়িত হয়েছে। ব্রাজিলেও ৩০ শতাংশ ব্রোঞ্জ ও রুপোর পদক ইলেকট্রনিক্স বর্জ থেকেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথমবার সব পদকই রিসাইকেল ই-ওয়েস্ট থেকে হচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রথম সাধারণ মানুষও এই প্রকল্পে এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এই উদ্যেগে প্রায় সাধারণ মানুষ ৫০ লক্ষ পুরনো স্মার্টফোন দান করেছেন।

Advertisment