Jasprit Bumrah unorthodox bowling action and injury risk: তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নানা সময় নানা কথা উঠেছে। এবার তা নিয়ে সোজাসাপটা কথাবার্তা বললেন ভারতীয় স্পিডস্টার জসপ্রীত বুমরা। তিনি বলেছেন, 'এই বোলিং অ্যাকশন দেখে লোকজন ভেবেছিল, আমি বোধহয় খুব বেশি হলে ছয় থেকে সাত মাস ক্রিকেটে টিকব।' লোকেরা যাই বলুক, তাঁর সেই সংক্ষিপ্ত রানআপের প্রতি বুমরার নিজের যথেষ্ট আস্থা ছিল। সেকারণে তিনি তা বদলানোর চেষ্টা করেননি। আর, বাকিটা বলছে তাঁর সাফল্য।
বুমরা জানিয়েছেন, তিনি কোনও কোচিং সেন্টার থেকে বোলিং শেখেননি। যা শিখেছেন, টিভিতে দেখে। তিনি বলেন, 'আমি ১৬-১৭ বছর বয়সে বল করা শুরু করি। টিভি দেখে ক্রিকেট খেলাটা শিখেছি। আমি কখনও কোনও ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি হইনি। আমি বোলিংয়ের সময় আমার নিজের লক্ষ্য কীভাবে পূরণ করব, তা নিজেই খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। এতদিন পর্যন্ত তা-ই করছি। সেই কারণে আমি নিজেই ঠিক করে নিই, কোন বোলিং দিয়ে কোন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করব।'
তাঁর ছোট বোলিং রান আপ সম্পর্কে বুমরা বলেছেন, 'ছোটবেলায় যখন ক্রিকেট খেলতাম, সেখানে বেঞ্চ থাকত। সেটাকেই বাউন্ডারি ধরতাম। ওখান থেকে দৌড়েই বল করতে যেতাম। যখন পেশাদার ক্রিকেটে আসি, বেশি দূর থেকে ছুটে এসে বল করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, দেখেছি যে আমার গতির কোনও হেরফের হয়নি। ওই একই থেকে গেছে। আমিও ক্রমশ মানিয়ে নিয়েছি।'
বুমরা জানিয়েছেন, কেউ তাঁর বোলিং অ্যাকশন বদলানোর চেষ্টা করেননি। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমার বোলিং অ্যাকশন দেখে অনেকেই ভেবে বসেছিল যে বেশিদিন ক্রিকেটটা খেলতে পারব না। ওই বড়জোর ছয় থেকে সাতমাস খেলব। কিন্তু, সেসব ধারণা মেলেনি। তারপরও লোকজন আমার বোলিং অ্যাকশনের নিন্দা করেছে। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, ভালো কিছু করতে পারব, তেমনটাই হয়েছে। তাই কেউ আমার বোলিং অ্যাকশন বদলানোর চেষ্টা চালায়নি। কোনও বিশেষ পরামর্শ দেয়নি।'
আরও পড়ুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট নিষিদ্ধ করল আইসিসি! চেয়ারে বসেই বড় পদক্ষেপ জয় শাহের
ভারতীয় স্পিডস্টারের সোজা কথা, 'আমার বোলিং অ্যাকশনে ক্ষতির চেয়ে বরং লাভই হয়েছে। আমার উন্নতি হয়েছে। নিজের ওপর নির্ভর করা, আত্মবিশ্বাস রাখাটাই সবচেয়ে বড়, সেটাই শেষ পর্যন্ত কাজে এসেছে।'