BCCI Secretary Jay Shah: একদিন আগেই জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে কোচিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। বারবার বিদেশি কোচরা বিসিসিআইকে প্রত্যাখ্যানের ঘটনা সামনে আসতেই এবার নড়েচড়ে বসল ভারতীয় বোর্ড। জয় শাহ মুখ খুলে জানিয়ে দিলেন, কোনও অস্ট্রেলিয়ান কোচকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
ল্যাঙ্গার-ই নন, এর আগে রিকি পন্টিং-ও এক পডকাস্টে বলেছেন, তাঁর সঙ্গেও আইপিএল চলাকালীন আলোচনা করেছিল বিসিসিআই। তবে তিনি রাজি হননি।
ভারতীয় বোর্ডের ইমেজ বাঁচাতে এরপরেই আসরে নেমে পড়েন বোর্ড সচিব জয় শাহ। বলে দিয়েছেন, "আমি অথবা বিসিসিএই কেউই কোনও অস্ট্রেলিয়ানের কাছে কোচিংয়ের অফার নিয়ে হাজির হইনি। মিডিয়ায় যে কিছু রিপোর্ট ভেসে আসছে, সেগুলো মোটেও সত্যি নয়। জাতীয় দলের জন্য সঠিক কোচ বাছাই এক সতর্কতা মূলক বিস্তারিত প্রক্রিয়া। ভারতীয় ক্রিকেটের হদিস রাখা কোচেদের আমরা শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চালু করেছি। জাতীয় দলের কোচের আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা থাকা অবিশ্যিক। যাতে টিম ইন্ডিয়াকে সাফল্যের পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়া যায়।"
আরও পড়ুন: টাইগারদের ফের বিড়াল বানিয়ে শিকার যুক্তরাষ্ট্রের! সিরিজ হেরে বিশ্বরেকর্ড বাংলাদেশের
জয় শাহের আরও সংযোজন, "আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বলি। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের থেকে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা আর কিছুতেই হতে পারে না। যে দলের জন্য গোটা দুনিয়ার সর্বত্র সমর্থন রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, খেলার প্রতি প্যাশন, এই কাজকে এত মহিমান্বিত করে তুলেছে।"
"এই কাজের জন্য প্ৰয়োজন পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়। যেখানে দুনিয়ার সেরা তারকাদের সামলাতে হবে। এবং একদল প্রতিশ্রুতিমান তারকাদের পরিচর্যা করতে হবে। কোটি কোটি সমর্থকদের আকাঙ্খা পরিপূর্ণ করা বিশাল সম্মানের। বিসিসিআই সঠিক কোচ বাছাই করবে যাঁর হাত ধরে ভারতীয় দল আরও এগিয়ে যাবে।"
বিবিসি-র স্ট্যাম্পড পডকাস্টে ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, কেএল রাহুলের সঙ্গে এক আলোচনাই তাঁকে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা খতম করে দিয়েছে। "না যে কখনই 'হ্যাঁ' হবে না, এমনটা নয়। ভারতে কোচিংয়ের চাপ তো আলাদাই। কেএল রাহুলের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যদি রাজনীতি চাপ সমাহার থাকে, তাহলে জাতীয় দলের কোচিংয়ের সময় সেটাই হাজার গুণ বেড়ে যায়। এটা যেন একটা পরামর্শ-ই ছিল কেএল-এর তরফ থেকে।"
দিল্লি ক্যাপিটালসের বর্তমান হেড কোচ আইসিসিকে বলে দিয়েছিলেন, "ভারতের জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়া মানে বছরে ১০-১১ মাস-ই ব্যস্ত থাকতে হবে। আমি সেটা করতে চাই। তবে বর্তমান আমার জীবনযাত্রার সঙ্গে তা মোটেও খাপ খায় না।"