শুক্রবার নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে ক্যারিবিয়ান দাপট দেখল বাইশ গজ। টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্সরা গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তানকে। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। ওশেন থমাস, হোল্ডার আর আন্দ্রে রাসেলের আগুনে বোলিংয়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান। মাত্র ২১. ৪ ওভার ব্যাট করে ১০৫ রান তোলে তারা। জবাবে উইন্ডিজ ১৩.৪ ওভারে সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়।
চার উইকেট নেওয়ার সুবাদে ওশেন থমাস ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু আলাদা করে নজর কেড়েছেন আন্দ্র রাসেল। তিন ওভার বল করে একটি মেডেন নিয়ে মাত্র চার খরচ করে দুই উইকেট তুলে নেন রাসেল। আর এই ম্যাচে রাসেলের হাত থেকে এসেছে বিষাক্ত সব বাউন্সার। রাসেলের এহেন আগুনে বোলিংয়ে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি বিগ হিটার বলেই পরিচিত। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্যাট হাতে একাই অনেক ম্যাচের রঙ বদলে দিয়েছিলেন তিনি। ২০৪.৮১-এর গড়ে ব্য়াট করেছিলেন তিনি। ১৪টি ম্যাচ থেকে তাঁর ব্যাট থেকে ৫২টি ছয় ও ৩১টি চার এসেছিল।
আরও পড়ুন: গেইলের ব্যাট, রাসেলের বল! পাকিস্তানকে শুরুতেই দুঃস্বপ্ন উপহার দিল ক্যারিবিয়ানরা
রাসেল বলছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওরকম বিধ্বংসী বোলিংয়ের পিছনে একটাই কারণ রয়েছে। তিনি ভিতর ভিতর জ্বলছিলেন। ক্ষোভে ফুটছিলেন ক্যারিবিয়ান স্টার। তিনি বললেন, "অনেকে এটাই বলে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আমি বিগ হিটার হিসেবেই এসেছি। তাঁরা ভুলে গিয়েছেন আমি একজন ফাস্ট বোলার। তাঁরা আমাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। শেষ কয়েক বছর আমাকে মিডিয়াম পেসারের তকমা দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি বড় স্ক্রিনেও মিডিয়াম পেসার হিসেবেই আমার নাম ফুটে উঠত। আমার ভেতরটা জ্বলত এটা দেখে। ওঁরা জানেন না কার ব্যাপারে কথা বলছেন। ওঁদের দেখিয়ে দেব আমি ৯০-তে বল করতে পারি। ওঁরা আমাকে এবার শ্রদ্ধার চোখে দেখবেন। মিডিয়াম পেসারও জোরে বল করতে পারে।"