কোন ক্রিকেটারের নেতৃত্বে খেলতে চান, জেমিমা রড্রিগেজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। মহিলা জাতীয় দলের সুপারস্টার সটান জানিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে খেলতে মুখিয়ে তিনি। ধোনির নেতৃত্বের প্রশংসা করে জেমিমা জানিয়ে দেন, জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে দেখেই তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, ধোনির অধিনায়কত্বে খেলা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো।
ইনস্টাগ্রামের লাইভ সেশনে এসে জেমিমা জানান, "ধোনির নেতৃত্বে খেলতে চাই। বড় হয়েছি ধোনিকে দেখে। দুটো বিশ্বকাপ জিতে ধোনি নিজেকে প্রমাণ করেছে। অনেক ক্রিকেটারকে বহু সাক্ষাৎকারে বোলতে শুনেছি ধোনির মতো অধিনায়ক আর তারা দেখেননি। ধোনির অধীনে খেলা আমার কাছে স্বপ্নের মতই।"
অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল নেতা। ২০০টি ওডিআই ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ধোনি দেশকে ১১০টি ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। ড্র ও হারের সংখ্যা যথাক্রমে ৫ ও ৭৪। ১১টি ম্যাচে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। ধোনির জয়ের শতকরা হার ৫৯.৫২। ২০০টি বা তার বেশি ম্যাচে অধিনায়কদের মধ্যে ধোনির আগে রয়েছেন কেবল রিকি পন্টিং (৭৬.১৪ শতাংশ)।
যাইহোক, ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে আবার অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে দু-একটি সফর বাতিল করে আইপিএল খেলানোর পক্ষপাতী, টি২০ বিশ্বকাপের আগে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখন বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে। এমন অবস্থায় দর্শকশুন্য ভাবে হলেও ম্যাচ আয়োজনের পক্ষপাতী বিসিসিআই। যাতে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা হলেও এড়ানো যায়।