আমার পুজো: ঝুলন গোস্বামী

ক্রিকেটের জন্য গত ১৭-১৮ বছর পুজোয় সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু আফটার অল তিনিও বাঙালি। পুজোর সময় তাঁর মনটাও চলে যায় ছোটবেলার দিনগুলোতে।

ক্রিকেটের জন্য গত ১৭-১৮ বছর পুজোয় সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু আফটার অল তিনিও বাঙালি। পুজোর সময় তাঁর মনটাও চলে যায় ছোটবেলার দিনগুলোতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jhulan Goswami

ঝুলন গোস্বামী (ছবি-টুইটার)

গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়া নজির গড়েছিলেন ঝুলন গোস্বামী। প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে বাইশ গজে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে ঝুলনই একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর দুশো উইকেট রয়েছে। নদীয়ার পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চির এই তারকা শেষ ১৬ বছর ভারতীয় ক্রিকেটকে নিজের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছেন। মিতালি রাজ অ্যান্ড কোম্পানির সম্পদ তিনি। ঝুলনের কাঁধে ভর করেই বছরের পর বছর এগিয়ে চলেছে ভারতের পেস ব্রিগেড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তরুণ মহিলা ক্রিকেটারদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। আজ আর তাঁর কোনও পরিচয় দেওয়ার দরকার পড়ে না।

Advertisment

ঝুলন যেমন দেশের গর্ব, তেমনই এই রাজ্যেরও। ‘চাকদাহ এক্সপ্রেস’ বলেই খ্যাত তিনি। ক্রিকেটের জন্য গত ১৭-১৮ বছর পুজোয় সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু আফটার অল তিনিও বাঙালি। পুজোর সময় তাঁর মনটাও চলে যায় ছোটবেলার দিনগুলোতে। পুজোর কথা বললেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ঝুলন। কলকাতার দুর্গাপুজোর জাঁকজমক তাঁকে কখনই টানেনি। চাকদাহর পুজোতে একটা আলাদা প্রাণ অনুভব করেন তিনি। ঝুলন বললেন, "পুজোর সময় পড়াশোনা করতে হতো না। এটাই সবচেয়ে ভাল লাগত। আর আমার হাতে কখনওই টাকা দেওয়া হত না। যখন যা দরকার আমাকে বাবা এনে দিতেন। কিন্তু পুজোর ক’টা দিন হাতে টাকা পেতাম। বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, দেদার আড্ডা দেওয়ার মজাই ছিল অন্যরকম। আরও মনে আছে, সকালবেলা আমরা বন্ধুরা মিলে ফুল তুলতে যেতাম। সেটাও ভীষণ স্পেশাল ছিল।" ঝুলন মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে আর বেঙ্গালুরর ব্রিগেড রোডের দুর্গা পুজোতেও সময় কাটিয়েছেন অনেকবার। মূলত অষ্টমীর অঞ্জলি দিতেই যেতেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাছে প্রবাসের দুর্গাপুজোয় সেই গন্ধটা নেই, যেটা চাকদহর পুজোয় পান।

এবার পুজোয় তিনি চাকদহতেই থাকছেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলেই ঠিক করেছেন টিম ইন্ডিয়ার বঙ্গজ পেসার। যদিও আর বাকি পাঁচজনের থেকে ঝুলনের মা দুগ্গার কাছে প্রত্যাশাটা সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি বললেন, "আমি চাই মা দুর্গা আমাদের সেই বোধটা দিন যাতে আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠতে পারি। সমীক্ষা বলছে ভবিষ্য়তে আমরা নিঃশ্বাসটুুকুও নিতে পারব না এখানে। আমারা আগামীর জন্য একটা খারাপ পৃথিবী রেখে যাচ্ছি। আমি চাই একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে উঠুক। যত্রতত্র প্লাস্টিক না-ফেলেই চারপাশটা  সুন্দর করে তোলার অবদানটুকু রাখতে পারি আমরা।"