কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন কোচ জন বুকাননের তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্দ সম্পর্কের কথা অজানা নয়। আইপিএলে কেকেআরের দলের রাশ ছিল এই দুজনের হাতেই। তবে কেকেআরে বুকানন-সৌরভের সম্পর্কে নতুনভাবে আলোচনায় নিয়ে এলেন আকাশ চোপড়া। জানালেন, শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে ২০০৯ এর পর পরিস্থিতি একদম খারাপ হয়ে যায়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ চোপড়া জানিয়েছেন, "আইপিএলের প্রথম দিকে জন বুকানন ছিলেন। রিকি পন্টিং ছিলেন। সেই সময় ক্যাপ্টেন ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ওঁদের মধ্যে সম্পর্ক শুরুতে বেশ ভালো ছিল। তবে পরে তা খারাপ হয়ে যায়।"
আকাশ চোপড়া বলেছেন, "বুকাননের কাজ করার ধরণ আলাদা। আবার, সৌরভের টেম্পারমেন্টও অন্য রকম। শেষ পর্যন্ত সৌরভকে ক্যাপ্টেন্সিপ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বুকানন। যে কাজে পরের বছরেই তিনি সফল হন। প্রথম মরশুমে কেকেআর ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে। সৌরভকে সরিয়ে দেওয়ার পর ম্যাকালামের নেতৃত্বে কেকেআর অষ্টম স্থানে ফিনিশ করে।"
জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের পর পরিস্থিতি একদম তলানিতে ঠেকে। দল একদম নিচে ফিনিশ করে। কোচকে ছাটিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভকে আরো একবার ক্যাপ্টেন করা হয়।
"বুকাননকে সরে যেতে হত শেষ পর্যন্ত। কিছু বিষয় অবশ্য বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলা হয়েছিল। আমি দলে ছিলাম বলে যে বিষয়টা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যেমন, তিন জনকে ক্যাপ্টেন করার কথা বলা হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। আসলে একটা জিনিস ভুল হলে অন্যগুলোও ভুল হতে থাকে। ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমারই যেমন বুকাননের বিরুদ্ধে বলার রয়েছে। কোনোকিছুই সেই সময় ঠিক হচ্ছিল না।"
এমনটা জানিয়ে আকাশ চোপড়া সেই সময়ের আরো বিস্তারিত বিবরণ জানিয়েছেন, "নিজের বন্ধু ও চেনা-পরিচিতদের বুকানন জড়ো করেছিলেন। পুরো পরিবারই এখানে এসেছিল। ওঁর প্রচুর লোক এখানে ছিল, যা আমাদের মোটেই পছন্দ হত না। এক দিকে বেছে বেছে ক্রিকেটার নেওয়া হচ্ছিল স্কোয়াডে, অন্য দিকে পুরো পরিবার সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে দলের সঙ্গে ঘুরছে। ঠিক এগুলোই হচ্ছিল। এটা আমাদের কাছে খুব তেতো লেগেছিল। কেকেআরের ইতিহাসে এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল।”